লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চর ইন্দুরিয়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. রাসেল বেপারীর (২৫) বিরুদ্ধে ভয়ংকর প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় নারী সেতারা বেগম মিতু। তিনি দাবি করেছেন, প্রেম, বিয়ে ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে রাসেল তার সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছেন। পরে আইনি প্রতিকার চাইতে থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও ন্যায়বিচার পাননি বলে গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন মিতু।
ভুক্তভোগী মিতু প্রথমে হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ন্যায়বিচার না পেয়ে তিনি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১)(২)(৩) ধারা এবং যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ এর ৩ ধারায় রায়পুর আদালতে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং: সিআর ৯২৩/২৫)।
মিতু গণমাধ্যমে জানান, কয়েক বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে রাসেলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়, যা থেকে প্রেমের সম্পর্ক এবং পরবর্তীতে রাসেলের পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়। বিয়ের পর নিয়মিত যোগাযোগ ও দেখা-সাক্ষাৎ চললেও সম্প্রতি প্রবাস থেকে দেশে ফিরে রাসেল বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, রাসেল তাকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা না দিলে তাদের ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এমনকি রাসেলের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার পরও মিতু থানার দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ন্যায়বিচার পাননি বলে অভিযোগ করেন।
আরও
তিনি আরও অভিযোগ করেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ান দেওয়ান পরিকল্পিতভাবে রাসেলকে প্ররোচিত করে আরেক নারীর সঙ্গে বিয়ে করান। মিতুর দাবি, সুফিয়ান রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তার ন্যায়বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করছেন।
এদিকে অভিযুক্ত রাসেলের বাবা আবুল কাশেম বেপারী বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, “আমি কাবিননামায় স্বাক্ষর করেছি, তবে ছেলে এখন আমার কথাও শুনছে না।” হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, অভিযোগের সত্যতা মিলেছে, তবে সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, “অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”










