মিসরের ঐতিহ্যবাহী ও বিশ্বখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব পোস্টগ্রাজুয়েট স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের হাদীস ও উলুমুল হাদীস বিভাগে অনুষ্ঠিত তামহীদি মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থী মুহাম্মাদ তাওহীদুল ইসলাম। সোমবার (১৩ অক্টোবর) তিনি নয়া দিগন্ত-কে জানান, ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষায় তিনি মোট ১২০০ নম্বরের মধ্যে ১০২১ নম্বর পেয়ে (গড় ৮৫.০৮) “জাইয়্যিদ জিদ্দান” গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এর আগেও তাওহীদুল ইসলাম আল-আজহারে ধারাবাহিকভাবে অসাধারণ ফলাফল করেছেন। ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষে তিনি ইসলামিক থিওলজি ফ্যাকাল্টির একই বিভাগ থেকে স্নাতক পর্যায়ের সমন্বিত ফলাফলে শতকরা ৯০ ভাগ নম্বর অর্জন করে সকল বিদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন এবং “এক্সিলেন্ট” (মুমতায) গ্রেড পান।
এরও আগে, ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষে হাদীস ও উলুমুল হাদীস বিভাগে শতকরা ৯০ ভাগ নম্বর পেয়ে সকল বিদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন তিনি। পরপর তিন বছর ধারাবাহিক কৃতিত্বের মাধ্যমে আল-আজহারের বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন এই বাংলাদেশি মেধাবী ছাত্র।
আরও
মুহাম্মাদ তাওহীদুল ইসলাম পাবনা জেলার আমিনপুর থানার এক ধর্মপ্রাণ ও শিক্ষানুরাগী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গোলাম মোস্তফা একজন ব্যবসায়ী ও দ্বীনদার ব্যক্তি। তাওহীদুল ইসলাম ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী থেকে প্রথমবার এবং ২০১৫ সালে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দ্বিতীয়বারের মতো কৃতিত্বের সঙ্গে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। এরপর ২০১৭ সালে হাটহাজারীতেই ইফতা বিভাগ শেষ করেন।
ইসলামী জ্ঞানচর্চা ও গবেষণায় উচ্চতর দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে তিনি ২০১৮ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য মিসরে পাড়ি জমান এবং ভর্তি হন আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার এই আন্তর্জাতিক কৃতিত্বকে বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গন ও ধর্মীয় গবেষণাক্ষেত্রে এক গৌরবময় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আল-আজহারের মতো প্রাচীন বিদ্যাপীঠে তার এই সাফল্য বাংলাদেশের ইসলামী জ্ঞানচর্চার মর্যাদাকে বৈশ্বিক অঙ্গনে আরও উজ্জ্বল করেছে।










