চাকরির ভিসা জালিয়াতি ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ইউরোপীয় দূতাবাসে প্রতারণার অভিযোগে কুয়েতে একটি আন্তর্জাতিক চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে পরিচালিত এই তদন্তে চক্রটির নানামুখী জালিয়াতির কৌশল উদ্ঘাটন হয়েছে।
তদন্তে জানা গেছে, চক্রটি ভিসার শর্ত পূরণে চাকরির পদবি পরিবর্তন, নিয়োগকর্তার ভুয়া তথ্য ব্যবহার, এবং ওয়ার্ক পারমিট, বেতনস্বরূপ দলিল, ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ সরকারি নথিতে জালিয়াতি করত। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ইউরোপে অবৈধ অভিবাসনের সুযোগ করে দিচ্ছিল তারা।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে চক্রটির সঙ্গে বিদেশে অবস্থানকারী এক মিশরীয় নাগরিকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তিনি একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়ার প্রচার চালাতেন এবং অভিবাসনে আগ্রহী ব্যক্তিদের নিশানা করতেন।
আরও পড়ুন
এ ঘটনায় কুয়েতের নিরাপত্তা বাহিনী চক্রের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে জাল নথিপত্র ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। এসব আলামত আইনগত ব্যবস্থার অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহযোগিতা বজায় রাখতে কুয়েত সরকার দ্রুত আরব প্রজাতন্ত্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এতে করে বিদেশে অবস্থানরত চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতার করাও সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের অবস্থান কঠোর এবং আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সবসময় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ধরনের অপরাধ এড়াতে সাধারণ জনগণকে দেশটির প্রচলিত আইন ও বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।