ইরানের উত্তরাঞ্চলের গিলান প্রদেশে অজ্ঞাত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং আরও ৩৩ জন আহত হয়েছেন। হামলার ফলে চারটি বসতবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, এই হামলার পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার (২৪ জুন) গিলান প্রদেশের আস্তানেহ-ইয়ে আশরাফিয়া শহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রদেশের গভর্নর কার্যালয় জানায়, আহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য, যাদের অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন। ডেপুটি গভর্নরের বরাতে জানা গেছে, হতাহতদের অন্তত ১৬ জন নারী ও শিশু।
এদিকে ইরানের একাধিক গণমাধ্যম দাবি করেছে, নিহতদের মধ্যে পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ রেজা সেদ্দিকির নাম রয়েছে। যদিও সরকারিভাবে এটি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা একজন সিনিয়র পারমাণবিক বিজ্ঞানীর ওপর সফলভাবে ‘টার্গেটেড অপারেশন’ পরিচালনা করেছে। যদিও ইরানে চালানো হামলার সঙ্গে এটি সম্পর্কযুক্ত কি না, তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন
ঘটনার উদ্দেশ্য এখনো পরিষ্কার নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এবং পারমাণবিক ইস্যুতে বিরোধ এই হামলার পেছনে কারণ হয়ে থাকতে পারে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তেহরানের উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় এমন হামলার ঝুঁকি আরও বাড়ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
এর আগে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ২৪ ঘণ্টার একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাব অনুযায়ী, মঙ্গলবার (২৪ জুন) গ্রিনিচ মান সময় ভোর ৪টা থেকে ইরান যুদ্ধবিরতি শুরু করে এবং ১২ ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় ইসরায়েলও তা অনুসরণ করে। ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতিকে সংঘাতের অবসানের একটি সম্ভাব্য সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেন।
তবে এই যুদ্ধবিরতির মাঝেও ইরানে হামলার ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের বদলে নতুন করে সহিংসতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।