নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে পারমাণবিক চুক্তি সম্ভব: ইরান

Nuclear deal possible if sanctions are lifted iran

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলী শামখানি বলেছেন, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে রাজি হতে পারে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলী শামখানি জানান, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করবে না, সেই সাথে ইউরেনিয়ামের মজুদ বন্ধ করবে এবং পারমাণবিক স্থাপনায় পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকার দেবে।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শামখানি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরে ইরান রাজি হবে, যদি নিষেধাজ্ঞাগুলো ‘অবিলম্বে’ তুলে নেওয়া হয়।

তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পারমাণবিক ইস্যুতে চতুর্থ দফা বৈঠকের মধ্যেই শামখানি এ মন্তব্য করলেন। ইরান ও পশ্চিমা কয়েকটি দেশের মধ্যে ২০১৫ সালে পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তবে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে এবং ইরানও ধীরে ধীরে তার বাধ্যবাধকতা থেকে সরে আসে।

২০১৫ সালের চুক্তিতে ইরানকে ৩.৬৭ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার শর্ত দেওয়া হয়েছিল, যেখানে বর্তমানে দেশটি ৬০ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৯০ শতাংশ প্রয়োজন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, ইরানই একমাত্র দেশ, যারা পারমাণবিক অস্ত্র না থাকা সত্ত্বেও এত উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে আসছে, তবে তেহরান সবসময়ই শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি চালানোর কথা বলে আসছে।

আলোচনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও তেল খাতকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে।

আরও দেখুন:

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।

Probashir city web post