ভারতের উত্তর প্রদেশের মেনপুরিতে এক ব্যতিক্রমী ও চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছে, যা রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন আসামি হাতকড়া পরা অবস্থায় মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন, আর পেছনে বসে রয়েছেন একজন পুলিশ সদস্য।
ভিডিওটি একজন প্রাইভেটকার যাত্রী মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করেন এবং পরে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ শেয়ার করেন। এতে দেখা যায়, আসামি হেলমেট ছাড়াই বাইক চালাচ্ছেন, আর পেছনে হেলমেট পরা অবস্থায় বসে আছেন পুলিশ। দড়ি দিয়ে আসামির হাত বাধা ছিল, আর সেই দড়ি পুলিশের হাতে ধরে রাখা ছিল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে পুলিশের পক্ষে বাইক চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই তারা বাইক চালানোর দায়িত্ব দেন হাতকড়া পরা ওই আসামিকে। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের মেনপুরি এলাকায় ঘটেছে।
#मैनपुरी: एक वायरल वीडियो में हथकड़ी लगे मुलजिम को सिपाही को बाइक पर बैठाकर पेशी के लिए ले जाते हुए देखा गया है। यह वीडियो थाना भौंगांव क्षेत्र का बताया जा रहा है, जिसमें मुलजिम खुद बाइक चला रहा है और पीछे सिपाही बैठा है। भौंगांव थाने का सिपाही वीडियो में दिख रहा है।… pic.twitter.com/XR7sHPuL6V
আরও
— UttarPradesh.ORG News (@WeUttarPradesh) December 13, 2024
মেনপুরি পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি স্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্তের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ এটিকে পুলিশের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করছেন, আবার কেউ ঘটনাটিকে রসিকতার চোখে দেখছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, পুলিশের এমন সিদ্ধান্ত আসলে কতটা সঠিক বা নিরাপদ।
এ ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন কৌতূহলের জন্ম দেয়, তেমনি এটি প্রশাসনের দায়িত্ববোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। এখন দেখার বিষয়, তদন্তের পর এই ঘটনার পেছনের সত্য উদ্ঘাটিত হয় কি না।








