ফ্রান্সে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে এক বাংলাদেশি নাগরিককে শর্তসাপেক্ষে ১৫০ ইউরো অর্থদণ্ড দিয়েছেন দেশটির ব্রেস্ট শহরের একটি আদালত। ৩১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ধর্মীয় কারণে নিজ দেশ বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। বর্তমানে তার রাজনৈতিক আশ্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তিনি ফ্রান্সের সারসেল শহরে একটি এনজিওর সহায়তায় বসবাস করছেন।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম Ouest-France-এর বরাতে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১২ জুলাই ওই বাংলাদেশি নাগরিক তিনজন অভিবাসীর সঙ্গে একটি পণ্যবাহী ট্রাকের পেছনে লুকিয়ে ফ্রান্সে প্রবেশের চেষ্টা করেন। রোস্কফ বন্দরে ফরাসি সীমান্ত পুলিশের হাতে তারা আটক হন। যুক্তরাজ্য থেকে আগত ট্রাকটির চালক ছিলেন রোমানিয়ার নাগরিক, যিনি এক পাচারকারীর চাপ ও অর্থের বিনিময়ে এই কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন।
আদালতে ওই বাংলাদেশি জানান, তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় বাংলাদেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন এবং তাই শান্তিপূর্ণ জীবনের আশায় ফ্রান্সে পাড়ি জমান। বর্তমানে তার কোনো কাজের অনুমতি নেই, ফলে তিনি কোনো পেশায় যুক্ত হতে পারছেন না। আদালত মানবিক দিক বিবেচনায় তাকে কেবল শর্তসাপেক্ষে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে, অর্থাৎ ভবিষ্যতে কোনো ফৌজদারি অপরাধে জড়ালে তবেই তাকে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন
ফ্রান্সে অনিয়মিতভাবে প্রবেশ ও বসবাস নিয়ে অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রোতাইয়ো জানিয়েছেন, শুধু অনুপ্রবেশ নয়, অবৈধ বসবাসকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ফ্রান্সের সাংবিধানিক কাউন্সিল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সেই প্রস্তাব বাতিল করে দেয়। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি নতুন একটি বিল উত্থাপন করা হয়, যা পাস হলে অনিয়মিত অভিবাসীরা জরিমানা ও বহিষ্কারের মুখোমুখি হতে পারেন। তবে এদের আপিল করার সুযোগ থাকছে।