অবসরের ঘোষণা দিলেন সাকিব

Prothomalo bangla2024 09 26k03kb

টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে টেস্টে মাঠে নামার আগে  (বৃহস্পতিবার) সংবাদ সম্মেলনে দুই ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন টাইগার এই অলরাউন্ডার।

ক্যারিয়ার শেষের ইঙ্গিতটা দিয়ে রেখেছিলেন অনেকদিন আগেই। গেল বছরের নভেম্বরে ভারতের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগেই সাকিব বলেছিলেন, খুব শিগগিরই ক্যারিয়ার শেষ করতে চান। এবার কানপুর টেস্টের আগে সেই ঘোষণা চলেই এলো।

কানপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে বাংলাদেশের তারকা এই অলরাউন্ডার জানালেন, টি-টোয়েন্টিতে নিজের শেষ ম্যাচটা এরইমাঝে খেলে ফেলেছেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের বিদায়টা তিনি নেবেন ঘরের মাটি থেকেই। অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে শেষবার বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাকে দেখা যাবে সাকিব আল হাসানকে।

অবসরের কথা জানিয়ে সাকিব প্রেস কনফারেন্সে বলেন ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি তে আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি, মিরপুর টেস্টে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলতে পারলে সেটি হবে আমার শেষ টেস্ট’।

যার অর্থ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটাই ছিল ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে সাকিব আল হাসানের শেষ ম্যাচ। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের আর্নস ভ্যালি স্টেডিয়ামেই বিদায় নিলেন দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই তারকা। যদিও শেষ ম্যাচটার পারফরম্যান্স সাকিব ভুলে যেতে চাইবেন প্রবলভাবে। ব্যাট হাতে প্রথম বলে আউট আর বল হাতে ১৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

সাকিবের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। ব্যাট হাতে ২৬ রান আর বল হাতে ১ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের সাক্ষী হয়েছিলেন সাকিব। দেশের ইতিহাসের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই ছিলেন তিনি। এরপর প্রতিনিধিত্ব করেছেন টানা নয় বিশ্বকাপে।

সাকিবের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২০০৭ সালে ভারত সিরিজে চট্টগ্রাম টেস্টে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ সেই ম্যাচ ড্র করেছিল। সাকিব কেবল ১ ইনিংসেই ব্যাট এবং বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন সেবারে। ব্যাট হাতে করেছিলেন ২৭ রান। বল হাতে ছিলেন উইকেটশূন্য। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের বাইরে নিজের শেষ টেস্টটাও সেই ভারতের বিপক্ষেই খেলবেন সাকিব।

দেড়যুগের লম্বা ক্যারিয়ারে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১২৯ ম্যাচে ২ হাজার ৫৫১ রান করেছেন সাকিব। ১২১ এর বেশি স্ট্রাইক রেট আর ২৩.১৮ গড় বাংলাদেশের সাপেক্ষে তাকে রাখবে ওপরের দিকেই। বল হাতে এই ফরম্যাটে পুরো বিশ্বে অনেকটা দিন ছিলেন শীর্ষ উইকেটশিকারী। শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ১৪৯ উইকেট। প্রায় প্রতি ২১ রানে একটা করে উইকেট পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান (২৫৫১) ও উইকেটের (১৪৯) মালিক তিনি।

সাদা পোশাকে সাকিব এখন পর্যন্ত ৭০ টেস্ট খেলেছেন। ব্যাট হাতে ৩৮.৩৩ গড়ে করেছেন ৪৬০০ রান। সেঞ্চুরি আছে ৫টি, অর্ধশতক ৩১টি। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সাকিবের। বল হাতে নিয়েছেন ২৪২ উইকেট। তিনিই অন্য দুই সংস্করণের মতন টেস্টেও দেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।

আরও দেখুন

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।

Probashir city web post