বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এটি একটি দারুণ খবর যে কানাডায় জন্ম নেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার সামিত সোমের জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) দ্রুততার সাথে এই কাজটি সম্পন্ন করেছে, যা খেলোয়াড় এবং ফেডারেশন উভয়ের জন্যই একটি ইতিবাচক অগ্রগতি।
জন্মনিবন্ধন হাতে পাওয়ার পর সামিতের পরবর্তী ধাপ হলো পাসপোর্ট তৈরি করা। যেহেতু তার বাবা-মা দুজনেই বাংলাদেশি, তাই এই প্রক্রিয়াটি হামজা চৌধুরীর মতোই মসৃণ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এর মধ্যে তার বাবা-মায়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও হালনাগাদ করা হয়েছে।
পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বাফুফেকে কানাডিয়ান সকার অ্যাসোসিয়েশন থেকে অনাপত্তিপত্র (Release Letter) সংগ্রহ করতে হবে। এই অনাপত্তিপত্র, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে সামিতের বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হবে। ফিফার বিশেষ কমিটি সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করে সবুজ সংকেত দিলেই শমিত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলতে পারবেন।
আরও পড়ুন
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় হামজা চৌধুরীর ক্ষেত্রে ফিফার অনুমতি পেতে প্রায় চার মাস সময় লেগেছিল। সেই হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচের আগেসামিতকে পাওয়া কঠিন হতে পারে। তবে বাফুফে এখনো আশাবাদী এবং তারা এই সময়ের মধ্যেই সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিমের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা সামিতের জন্মনিবন্ধনের খবরটি এইমাত্র পেয়েছেন এবং খুব শীঘ্রই তিনি পাসপোর্টের জন্য দূতাবাসে আবেদন করবেন। তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে ১০ জুনের আগেই সব কাজ শেষ করা।
হামজা চৌধুরীর সফল অভিষেকের পর অনেক প্রবাসী ফুটবলারই বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এর আগে ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া জামাল ভূঁইয়া ২০১৩ সালে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হিসেবে জাতীয় দলে যোগ দেন। এরপর ফিনল্যান্ডে বেড়ে ওঠা তারিক কাজীও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেন।
বর্তমানে সামিত কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ক্যাভালরি এফসিতে খেলছেন এবং এরই মধ্যে দলটির হয়ে ৫৭টি ম্যাচ খেলেছেন। এর আগে তিনি ২০১৬ সালে কানাডার অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে সাতটি এবং ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছেন। এমনকি ২০২০ সালে তিনি কানাডার জাতীয় দলের হয়ে দুটি ম্যাচও খেলেছেন।
সামিতের অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের মিডফিল্ডকে আরও শক্তিশালী করবে এবং দলের পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়। এখন দেখার বিষয়, বাফুফে কত দ্রুততার সাথে বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে এবং শমিতকে সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে দলে পাওয়া যায় কিনা।
আরও দেখুন