পবিত্র কাবা শরিফের নতুন গিলাফ সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। ১৪৪৭ হিজরি সনের প্রথম রাত, অর্থাৎ মহররমের ১ তারিখ রাতে এশার নামাজের পর শুরু হবে গিলাফ পরিবর্তনের ঐতিহ্যবাহী কার্যক্রম। এ বছরও গিলাফ পরিবর্তনে অংশ নেবেন ১৫৯ জন অভিজ্ঞ কারিগর।
গত ৮ জুন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পক্ষ থেকে মক্কা অঞ্চলের ডেপুটি গভর্নর ও কেন্দ্রীয় হজ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান প্রিন্স সৌদ বিন মিশাল নতুন গিলাফটি কাবার চাবির অধিকারীর হাতে হস্তান্তর করেন। গিলাফ পরিবর্তনের এই ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে।
আরও পড়ুন
ইসলামের সূচনালগ্ন থেকে দীর্ঘদিন ধরে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ, আরাফাত দিবসে গিলাফ পরিবর্তন করা হতো। তবে ২০২২ সাল থেকে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হিজরি নববর্ষকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলতে এখন মহররম মাসের প্রথম রাতে গিলাফ পরিবর্তন করা হচ্ছে।
পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ চারটি বড় কাপড়ের খণ্ড ও একটি দরজার অংশ দিয়ে গঠিত। নতুন গিলাফ লাগানোর সময় পুরনোটি ধীরে ধীরে সরিয়ে ফেলা হয়। পুরো গিলাফ তৈরিতে ৬৭০ কেজি কালো রেশম ব্যবহার করা হয় এবং ৪৭টি অংশ একত্রে সেলাই করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেলাই মেশিনে। অনেক সূক্ষ্ম নকশার কাজ হাতেও করা হয়।
৬৫৮ বর্গমিটার আয়তনের এই গিলাফে ২১ ক্যারেটের ১২০ কেজি স্বর্ণ ও ১০০ কেজি রুপার সুতা ব্যবহার করে পবিত্র কোরআনের আয়াত এবং আল্লাহর নাম খোদাই করা হয়। সব মিলিয়ে এই গিলাফের ওজন ৮৫০ কেজি, এবং এটি প্রস্তুত করতে সময় লাগে প্রায় ছয় থেকে আট মাস। প্রায় ২৫ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল ব্যয়ে নির্মিত এই গিলাফকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল কাপড় হিসেবে গণ্য করা হয়।