প্রবাসীরা কি দেশে কোরবানি দিতে পারবেন?

প্রবাসীরা কি দেশে কোরবানি দিতে পারবেন

Probash Time Whatsapp Channel

ইসলাম ধর্মে কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে আদায় করা হয়ে থাকে। হানাফি মাজহাব অনুযায়ী, যে ব্যক্তি নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যয় বাদে সাড়ে সাত তোলা সোনা বা তার সমমূল্যের সম্পদের মালিক হন, তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। এটি একটি আর্থিক ইবাদত, যা ইসলামের সাম্য, ত্যাগ এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের প্রতীক।

কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক নয়। কেউ চাইলে নিজ তত্ত্বাবধানে অন্য কোনো স্থানে—even প্রবাসে অবস্থান করে নিজ গ্রামে বা দেশে—কোরবানি করাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কোরবানিদাতার অবস্থান নয়, বরং পশু জবাইয়ের স্থানে ঈদের জামাত আদায় হওয়াই যথেষ্ট।

কোরবানি শব্দটি এসেছে ‘কুরবুন’ ধাতু থেকে, যার অর্থ আল্লাহর নৈকট্য লাভ। নির্দিষ্ট পশুকে নির্দিষ্ট নিয়মে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জবাই করাই ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে কোরবানি। এটি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং একজন মুসলমানের আল্লাহর প্রতি আত্মনিবেদন ও আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল নিদর্শন।

পবিত্র কোরআনে কোরবানির গুরুত্ব বারবার তুলে ধরা হয়েছে। সূরা কাওসারে আল্লাহ তাআলা নামাজ ও কোরবানিকে একত্রে নির্দেশ দিয়েছেন: “তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করো ও কোরবানি করো।” সূরা হজে বলা হয়েছে, “আল্লাহর কাছে পশুর গোশত বা রক্ত নয়, পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া।”

শরিয়তের এই বিধান মুসলমানদের কেবল ইবাদতের দিকেই আহ্বান জানায় না, বরং মানবিক সহানুভূতি, সামাজিক সহযোগিতা এবং দানশীলতার মাধ্যমে সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠার এক অনন্য সুযোগও এনে দেয়। তাই কোরবানি শুধুই একটি প্রথা নয়, বরং তা আত্মশুদ্ধির এক মহান অনুশীলন।

আরও দেখুনঃ

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।

city
Pt favicon update
Probashir city web post