ওমানে বাংলাদেশিদের ভিসা নিষিদ্ধের কারণ জানে না বাংলাদেশ দূতাবাস। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দূতাবাসের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত জানি না কেন তারা (ওমান) বাংলাদেশিদের ভিসা নিষিদ্ধ করল। বৃহস্পতিবার আমরা ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছি।
আমরা তাদের কাছ থেকে এর কারণ জানতে পারব।’
বাংলাদেশ থেকে কারিগরি খাতের অনেক কর্মী ওমানে যান। দেশটিতে ভিসা বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই খাতে কর্মী যাওয়ার পথও বন্ধ হয়ে গেল। এতে রেমিট্যান্স আসা কমবে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের সভাপতির আবুল বাশার এসব কথা বলেন।
গতকাল বুধবার মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে টেকনিক্যাল সেক্টরে ওমানে যাওয়া কর্মীদের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে। সেই রেমিট্যান্স আসা অনেক কমে যাবে।’
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য বলছে, মোট কর্মসংস্থানে তৃতীয় হলেও কয়েক বছর ধরে কর্মী পাঠানোর হিসাবে দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার ওমান।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৮ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো হয়েছে। গত বছর দেশটিতে গেছেন এক লাখ ৭৯ হাজার ৬১২ জন বাংলাদেশি।
গত মঙ্গলবার বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা স্থগিত করে ওমান। পাশাপাশি ট্যুরিস্ট ও ভিজিট ভিসায় ওমানে গিয়ে ভিসা পরিবর্তন করার সুযোগও স্থগিত করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সব ধরনের নতুন ভিসা বন্ধ থাকবে বলে এক বিবৃতিতে জানায় ওমান পুলিশ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post