মালয়েশিয়ায় চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে এক হাজার পাঁচজন নিয়োগকর্তাকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক জাকারিয়া শাবান।
তিনি বলেন, আটক হওয়া নিয়োগকর্তারা রেস্তোরাঁ, কারখানা ও খুচরা দোকানসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বেশিরভাগই মালয়েশিয়ার স্থানীয় নাগরিক, যারা বৈধ কাগজপত্র না থাকা সত্ত্বেও বিদেশিদের নিয়োগ বা আশ্রয় দিয়েছিলেন।
এ সময় জানানো হয়, ১ জানুয়ারি থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত দেশজুড়ে ৬ হাজার ৯১৩টি অভিযান পরিচালনা করে অভিবাসন বিভাগ। এসব অভিযানে প্রায় ৯৭ হাজার ৩২২ জন বিদেশির কাগজপত্র যাচাই শেষে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২৬ হাজার ৩২০ জনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন
জাকারিয়া শাবান জানান, এই অভিযান চালানোর মূল উদ্দেশ্য হলো—অবৈধভাবে শ্রমবাজারে অনুপ্রবেশ ঠেকানো এবং স্থানীয়দের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। তিনি আরও বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে সরকার কোনো আপস করবে না, এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে দেশব্যাপী ২০০টিরও বেশি চিহ্নিত হটস্পট এলাকার ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে, যার মধ্যে অনেক প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ অঞ্চলও রয়েছে।
আটক নিয়োগদাতাদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং মানব পাচারবিরোধী আইন ২০০৭-এর আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিয়োগকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন তারা সকল নিয়ম মেনে বৈধ শ্রমিক নিয়োগ দেন এবং দেশের আইন মেনে চলেন। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এসব পদক্ষেপের ফলে শ্রমবাজারে শৃঙ্খলা ফিরবে এবং স্থানীয় শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত হবে।