নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতেই থাকবেন বলে জানিয়েছে ভারত।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধির জয়সওয়াল একথা।
রনধির জয়সওয়াল বলেন, শেখ হাসিনা ইস্যুতে বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের বিষয়ে দিল্লি অবগত রয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ায় কারণে সেখানেই অবস্থান করবেন তিনি। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও জানান তিনি।
এদিকে, শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফেরাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শেখ হাসিনাকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত ৬০টির বেশি হত্যা ও গুমের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪টিতেই মূল আসামি শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতার দীর্ঘ ৩৯ বছর পর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। ওই বছরের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি ট্রাইব্যুনালকে একীভূত করা হয়। ফলে একটি ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকার্য চলমান ছিল। আগের ত্রিশটি মামলা এখনও ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post