যেসব কর্মী সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও উড়োজাহাজের টিকিট সংকটে মালয়েশিয়া যেতে পারেননি, তাদের টাকা ফেরত দেবে রিক্রুটিং এজেন্সি। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং রিক্রুটিং এজেন্সির সংগঠন বায়রা নেতারা এ আশ্বাস দিয়েছেন।
শুক্রবার ছিল মালয়েশিয়া যাওয়ার শেষ দিন। দেশটির পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া পর্যন্ত বিদেশি কর্মী নিয়োগ করবে না। ফলে আজ থেকে চাকরি নিয়ে মালয়েশিয়া যেতে পারবেন না বাংলাদেশি কর্মীরা।
২০২২ সালে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার পর ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট কর্মী পাঠানোর কাজ পায়। পরে যোগ হয় আরও ৭৫ বেসরকারি এজেন্সি। সরকার কর্মীপ্রতি ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে দিলেও সাড়ে চার থেকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে আদম ব্যাপারী এবং রিক্রুটিং এজেন্সি। কিন্তু সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও হাজারো কর্মী উড়োজাহাজের টিকিট না পেয়ে মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। তাদের টিকিট দিতে পারেনি রিক্রুটিং এজেন্সি।
যারা যেতে পারেননি, রিক্রুটিং এজেন্সিকে তাদের টাকা ফেরত দিতে রাজি বলে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। প্রতিমন্ত্রীর বরাতে এ কথা জানানো হয়। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর কাজ পাওয়া সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত রহুল আমিন সমকালকে বলেছেন, অবশ্যই এজেন্সিকে টাকা ফেরত দিতে হবে।
তবে কত টাকা ফেরত দেবে এজেন্সি? তা স্পষ্ট নয়। কারণ সরকার নির্ধারিত ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা হলেও এজেন্সিগুলো এর কয়েক গুণ টাকা নিয়েছে। সিন্ডিকেটের হোতারা কর্মীপ্রতি ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা করে নিয়েছে। ভিসা কেনায় গেছে কর্মীপ্রতি দেড় লাখ টাকা। এসব অবৈধ লেনদেনের কোনো নথি নেই। শুধু সরকার নির্ধারিত ব্যয়ের দলিল রয়েছে।
রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের সংগঠন বায়রার নেতা আলী হায়দার চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যত টাকা দেওয়ার প্রমাণ রয়েছে, তা ফেরত দিতে হবে। কর্মীর কাছে যদি বাড়তি টাকা দেওয়ার প্রমাণ থাকে, তাহলে অবশ্যই এজেন্সিকে ফেরত দিতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post