জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দুটি নতুন বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অনুমোদন দিয়েছে। চ্যানেল দুটির নাম ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’। এই অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে আলোচনা।
‘নেক্সট টিভি’র লাইসেন্স পেয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান তুহিন, যিনি আগে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। অপরদিকে ‘লাইভ টিভি’র লাইসেন্স পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আরিফুর রহমান, যিনি ছাত্রজীবনে ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন। দুই টিভি মালিকের আর্থিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এখনো এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, টিভি লাইসেন্সের ক্ষেত্রে আগের সরকারের মতোই প্রথা অনুসরণ করা হয়েছে। যদিও বেসরকারি টিভি অনুমোদনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট আইন বা নীতিমালা নেই, আবেদন যাচাই শেষে সরকারের অনুমোদনেই এসব লাইসেন্স দেওয়া হয়। বর্তমানে দেশে ৫০টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল অনুমোদিত, যার মধ্যে ৩৬টি সম্প্রচারে রয়েছে।
আরও
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পূর্ববর্তী সরকার দলীয় আনুগত্য ও স্বজনপ্রীতির ভিত্তিতে টিভি লাইসেন্স দিয়েছে, যার ফলে গণমাধ্যম খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। কমিশন সম্প্রচার কমিশন গঠনের সুপারিশ করলেও অন্তর্বর্তী সরকার এখনো তা বাস্তবায়ন করেনি।
দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আশা ছিল যে, তারা স্বচ্ছ ও নীতিনির্ভর সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আগের সরকারের মতোই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। বিদ্যমান টিভিগুলোর আর্থিক সংকট থাকা সত্ত্বেও নতুন লাইসেন্স দেওয়া প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত।











