গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি করতে না পারলে ১৩০ জন ইসরায়েলি সেনা চাকরি ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে বুধবার (০৯ অক্টোবর) তারা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
ডেইলি সাবাহর খবর অনুযায়ী, বুধবার ১৩০ জন ইসরায়েলি সেনা একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। সেই চিঠিতে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে যদি নেতানিয়াহু সরকার গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তির চুক্তিতে না পৌঁছায় তাহলে তারা আর সেনাবাহিনীতে যোগদান করবেন না।
ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধানকে উদ্দেশ করে লেখা ওই চিঠিতে বিভিন্ন সামরিক ইউনিটের রিজার্ভ ও নিয়মিত সেনারা স্বাক্ষর করেছেন। তাদের মধ্যে আর্মার্ড কর্পস, আর্টিলারি কর্পস, হোম ফ্রন্ট কমান্ড, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।
চিঠিতে গাজায় চলমান অভিযানের বিরোধিতা করে সেনারা বলেছেন, এই সংঘাত বন্দিদের মুক্তি বিলম্বিত করছে ও তাদের জীবনের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
তারা বলেন, এখন এটা পরিষ্কার যে গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া শুধু জিম্মিদের মুক্তি বিলম্বিত করছে না বরং তাদের জীবনকেও বিপন্ন করছে। আইডিএফের হামলায় অনেক জিম্মি নিহত হয়েছে। সামরিক অভিযানে তাদের রক্ষা করার চেয়ে বেশি সংখ্যক মারা গেছে।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি সরকার জিম্মি বিনিময়ের চুক্তির পথে না যায় তাহলে আমরা আর যোগদান করতে পারব না। আমাদের মধ্যে কয়েকজনের ইতিমধ্যেই লাল রেখা অতিক্রম হয়ে গেছে। অন্যদেরও দ্রুত সেই সময় চলে আসছে।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা করে আসছে ইসরায়েল। ইতিমধ্যে ছোট্ট এই উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাতদিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। চুক্তির আওতায় হামাস শতাধিক ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তিও দেয়। তবে এখনো তাদের হাতে শতাধিক ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post