করোনা মহামারিতে সুপ্রিম কমিটির বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ওমানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৮শ’জনকে জেল জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫-ফেব্রুয়ারি) দেশটির সরকারি এক প্রবীণ আইনজীবীর বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ওমানের জাতীয় গণমাধ্যম।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়, ‘‘দেশটিতে প্রায় ২৪৮ জন সরাসরি আইন লঙ্ঘনে জড়িত ছিলো। এছাড়াও দেশটিতে মোট ৭৯০ জনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কমিটির নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছিলো। যাদের মধ্যে ৩৯৬ জন ওমানি ও ৩৯৪ জন প্রবাসী।
দেশটিতে লকডাউন চলাকালীন সুপ্রিম কমিটির আইন লঙ্ঘন করে বাড়ীর বাইরে বের হওয়ার কারণে ২৫ শতাংশ নাগরিককে জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ১৯ শতাংশ মাস্ক না পড়া, ১৭ শতাংশ দোকান খোলা রাখায় ও ১২ শতাংশ ব্যক্তিকে জনসমাবেশে অংশ নেওয়ায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশনের সহকারী প্রসিকিউটর জহরান আল রুকাইশি বলেন, “মাস্কাটে সর্বাধিক সংখ্যক করোনা রোগীর রেকর্ড করা হয়েছে। এর অন্যতম কারণ এই এলাকার নাগরিকরা লকডাউনের সময়ও একত্রে নামাজ আদায় করেছে। এই এলাকার বাসিন্দারা সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে তাদের জেল জরিমানা করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
কৃত্রিম চাঁদ বানাচ্ছে সৌদি আরব
সহজে ই-পাসপোর্ট করবেন যেভাবে
পাসপোর্ট নিয়ে চরম ভোগান্তিতে ওমান প্রবাসীরা
জনসনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন এক ডোজই যথেষ্ট
করোনার সর্বশেষ তথ্য নিয়ে ওমান সুপ্রিম কমিটির সংবাদ সম্মেলন
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন মেনে না চলার জন্য দেশটির উত্তর আল বাতিনার বাসিন্দাদের আটক করা হয়েছে। এছাড়া আল দাখিলিয়াহ এবং আল দাহিরা উভয় এলাকার বাসিন্দাদের আটক করার কারণ হলো সামাজিক ও সাংগঠনিক সমাবেশ পরিচালনা ও অংশগ্রহণ করা।
আল রুকাইশি বলেন, “সুপ্রিম কমিটির বিধিবিধান অনুসরণ না করা লোকের সংখ্যা অল্প। তবে সমাজের বাকী অংশে তাদের অপরাধের প্রভাব গভীর। দেশটির কিছু মানুষের নিয়ম লঙ্ঘনের কারণ অন্যান্য বাসিন্দাদের উপর করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
সাধারণভাবে কোনো ব্যক্তি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে তার প্রভাব সর্বপ্রথম তার পরিবারের ওপর পরবে। এছাড়াও সেই ব্যক্তি যে কমিউনিটিতে থাকে সেই কমিউনিটিতে এর প্রভাব পরবে।” তাই দেশটির সকল নাগরিকদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post