অবসর ভাতা, সহজ শর্তে ব্যাংক লোন, বিমানবন্দরে জটিলতা নিরসনসহ ১১ দফা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশি প্রবাসীদের উদ্যোগে এসব দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। এ সময় ১৫-২০ জন প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।
১১ দাবি হলো-
১৫ বছর প্রবাস জীবনের পর দেশে ফিরে এলে যুক্তিসংগত প্রবাসী অবসর ভাতা দিতে হবে।
ছুটিতে দেশে এসে কোনো কারণে মারা গেলে বা বিদেশে কর্মক্ষেত্রে শারীরিক পঙ্গুত্ববরণ করলে এককালীন তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা প্রণোদনা বা ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করতে হবে।
কোনো প্রবাসী প্রবাসে মারা গেলে ঐ প্রবাসীর লাশ রাষ্ট্রীয় খরচে এবং ব্যবস্থাপনায় দেশে ফেরত আনতে হবে এবং মৃতের স্বজনদের নিকট বুঝিয়ে দিতে হবে।
প্রত্যেক প্রবাসী পরিবার নামে বিশেষ স্মার্ট কার্ড প্রদান করিতে হবে। ঐ স্মার্ট কার্ড দ্বারা বাংলাদেশের সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যেকটি সেক্টরে যেমন- মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ইউনিয়ন অফিস, থানা, সিটি কর্পোরেশন, ভূমি অফিস, পরিবহন সেক্টর থেকে শুরু করে সব নাগরিক সেবায় প্রবাসীর পরিবার যেন সুফল ভোগ করতে পারে।
শুধুমাত্র পাসপোর্ট, ভিসা কপি অথবা আকামা কপি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবাসীকে সহজ শর্তে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত বা মালিকানাধীন অন্যান্য ব্যাংকগুলো থেকে বিনাসুদে বা সহজ শর্তে হাউজ লোন, ব্যবসায়িক লোনসহ অন্যান্য লোন দিতে হবে এবং কর্মসংস্থানের উদ্দেশে বিদেশ গমনে আগ্রহী ব্যক্তিকে ঐ ব্যাংকগুলো থেকে লোন প্রদান করিতে হবে।
কোন কারণে বাংলাদেশে বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীর নামে কোনো প্রকার মামলা মোকাদ্দমা হলে তা দ্রুত নিষ্পত্তির বিধি-বিধান এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। মামলা নিষ্পত্তি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯০-১২০ দিন হতে পারে।
প্রবাসে কোনো প্রবাসীর সমস্যা হলে বাংলাদেশ দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। প্রবাসীদের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করতে হবে। বাধ্যতামূলক দায়িত্ব পালন বা পদক্ষেপ গ্রহণের প্রশাসনিক এবং আইনি কাঠামো শক্তিশালী করতে হবে।
অসুস্থতার কারণে কোনো প্রবাসী দেশে এলে বাংলাদেশের সব সরকারি মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।
প্রতিটা প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা দিতে হবে। প্রবাসী পরিবারের সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাসী পরিবারের সামাজিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে রাষ্ট্র বা সরকার উপযুক্ত নীতিমালা ও কর্মপন্থা তৈরি করে যথাযথ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে।
এয়ারপোর্টে কোনো প্রকার লাগেজের ক্ষতি হলে প্রতিটা খালি লাগেজের জন্য ২০ হাজার টাকা ৭ দিনের মধ্যে দিতে হবে এবং লাগেজের ভেতর মালামাল চুরি হলে প্রতি কেজি ছামানোর মূল্য গড়ে ২০ হাজার টাকা করে বিমান কর্তৃপক্ষ ৭ দিনের মধ্যে দিতে হবে। এয়ারপোর্টের ট্রলি এয়ারপোর্ট পার্কিং এরিয়ায় নেয়ার সুবিধা করে দিতে হবে।
অভিবাসনের ক্ষেত্রে এবং বিদেশ যাত্রায় হয়রানী প্রতিরোধ করতে হবে এবং বিমানবন্দরে জটিলতা ইত্যাদি নিরসনে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রবাসীরা বাংলাদেশে আসতে এবং বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে যেসব অনাকাঙ্কিত জটিলতায় পরেন তার স্থায়ী নিরসন করতে হবে। প্রবাসীর বিদেশে যাত্রা সহজ ও সুশৃঙ্খল করার কার্যকর বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post