হুন্ডি বা অবৈধ উপায়ে দেশে অর্থ প্রেরণ ওমানের আইনে দন্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে এ বিষয়ে সবার সচেতনতা ও সহযোগিতা কামনা করেছে মাস্কাটের বাংলাদেশ দূতাবাস।
এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসাধু ব্যক্তিরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুজব ও অপপ্রচারের মাধ্যমে বৈধ চ্যানেলের পরিবর্তে হুন্ডিকে উৎসাহিত করছে। অথচ হুন্ডি বা অবৈধ পথে দেশে অর্থ পাঠালে তা ব্যক্তি, পরিবার ও বাংলাদেশের জন্য শুভ ফল বহন করে না।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হুন্ডি বা অবৈধ উপায়ে দেশে অর্থ প্রেরণ করলে ব্যক্তি যে কোন মুহূর্তে বিচারের সম্মুখীন হতে পারেন।
এছাড়া এই পথে অর্থ পাঠালে কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে তা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না এবং কোন আইনী সহায়তাও পাওয়া যায় না। বলা হয়, অবৈধ উপায়ে অর্থ প্রেরণ করা হলে অর্থ গ্রহীতাও যে কোন সময় আইনি জটিলতার মুখে পড়তে পারেন।
এর আগে সরকার আহ্বান জানানোর পরেও ওমানে রেমিট্যান্স শাটডাউন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রবাসীদের অনেকে। এই ক্যাম্পেইনের কারণ জানতে চাইলে তারা দেশে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানোর কথা বলছেন। অনেকে ইন্টারনেট বন্ধের কারণে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে না পারার বিষয়টিকেও টেনে আনছেন।
এদিকে, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে দেশে খোলাবাজারে নগদ ডলারের দামে হঠাৎ অস্থিরতা শুরু হয়েছে। পতন দেখা গেছে জুলাইয়ের রেমিট্যান্সেও। ঢাকার খোলাবাজারে প্রতি মার্কিন ডলারের দাম বেড়ে ১২৪ থেকে ১২৫ টাকায় উঠেছে বলে খবর ছেপেছে গণমাধ্যমগুলো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post