মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতের একটি ভবনে লাগা ভয়াবহ আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫ জন ভারতীয় প্রবাসী শ্রমিক। ভারতের বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে করে কুয়েত থেকে বিমানভর্তি তাদের মরদেহ ভারতে ফেরানো হয়।
গতকাল শুক্রবার (১৪ জুন) ভোরে মরদেহ নিয়ে সি-১৩০ জে বিমান কুয়েত থেকে যাত্রা শুরু করে বেলা ১১টায় কেরালার এর্নাকুলাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। মৃতদের অধিকাংশই কেরালার বাসিন্দা হওয়ায় বিমানটি প্রথমে সেখানে নামে।
গত বুধবার ভোরে কুয়েতের রাজধানী শহরের দক্ষিণে মাঙ্গাফ এলাকার একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। সেখানে মূলত ১৭৬ জন ভারতীয় শ্রমিক বাস করতেন।
সংবাদমাধ্যম আরব টাইমস জানায়, কর্তৃপক্ষের চালানো তদন্তে দেখা গেছে, কুয়েতের ছয়তলা ওই আবাসিক ভবনের নিচতলায় নিরাপত্তাকর্মীর কক্ষে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।
অগ্নিকাণ্ডে ৫০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে কুয়েত কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৪৫ জনই ভারতীয়। দুইজন ফিলিপিন্সের। আর দুটো দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এদিকে নিহত ভারতীয় শ্রমিকদের ২৩ জনই হলেন কেরালার বাসিন্দা।
তবে এদের মধ্যে সাত জন থাকতেন তামিলনাডুতে। উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিনজন করে শ্রমিক মারা গেছেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উড়িষ্যার দুই জনের মৃত্যু হয়। তাছাড়া, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাবের একজন করে শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বিমানবন্দরে সকাল থেকেই মৃতদের পরিবারের সদস্যরা অপেক্ষা করছিলেন। বিমানে করে মরদেহ ফিরতেই শোকের পরিবেশ তৈরি হয় বিমানবন্দর জুড়ে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরই তৎপর হয়েছিল ভারতের কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে কুয়েত যান দ্রুত ভারতীয়দের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে। কীর্তিবর্ধন সিংহও ভারতে ফিরেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post