দেশে গত ৯ মে থেকে শুরু হয়েছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট। এবার হজযাত্রীদের মাধ্যমে নিষিদ্ধ জর্দার কার্টন পাঠানোরও অভিযোগ পাওয়া গেছে হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে।
এ ধরনের নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হজ এজেন্সিগুলোকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গত সোমবার (১৩ মে) হজ এজেন্সিগুলোকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা হজ ফ্লাইটের যাত্রা শুরুর আগে সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করছে না। এতে যেমন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি ভাবে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হজযাত্রীদের। এ ব্যাপারে আরো সচেতন হতে আহ্বান করেছে মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সব এজেন্সির অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গত ৯ মে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর থেকে এরইমধ্যে সংঘটিত কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি নিয়ে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘানাম ১২ মে বিকেলে বাংলাদেশ হজ অফিস, মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং হজ এজেন্সির অংশগ্রহণে জুম প্ল্যাটফর্ম সভায় অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত সভায় সৌদির পক্ষ থেকে হজ এজেন্সিগুলোর ‘ফ্লাইট ডাটা’ সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
চিঠিতে জানানো হয়, হজ এজেন্সিগুলো নিয়মিত ও সঠিকভাবে হজ ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীর প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না।
ফলে কত নম্বর ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছেন, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী, কোন হোটেল/বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
এসব তথ্য ফ্লাইট পৌঁছানোর আগে না পাওয়ায় সৌদি কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের জন্য বাস ও লাগেজ পরিবহনের জন্য ট্রাক প্রস্তুত করতে পারছে না। মোয়াল্লেমের লোক সংশ্লিষ্ট হোটেল/বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না।
এতে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে রোড-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। সভায় এখন থেকে প্রতিটি ফ্লাইটের যাত্রা শুরুর আগে সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
এদিকে, আরও কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি সম্পর্কে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ এসেছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, কয়েকটি এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টন পাঠাচ্ছেন যা জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে বলে চিঠিতে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এজেন্সি হজযাত্রীদের পাঠাচ্ছেন সঙ্গে হজ গাইড বা এজেন্সির প্রতিনিধি থাকছে না। ফলে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। হজযাত্রীদের আগমনের বিষয়টি সার্ভিস কোম্পানিকে ভালোভাবে অবহিত না করার কারণে বাড়ি/হোটেলে মোয়াল্লেমের অভ্যর্থনাকারী টিম উপস্থিত থাকছে না। এতে হজযাত্রীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post