২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের পর সৌদি আরবের আল নাসর ক্লাব বিশাল অঙ্ক খরচ করে পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে কিনে নেন। রোনালদোর দেশটিতে বসবাসের জন্য আলাদা আইনও প্রণয়ন করেন মোহাম্মদ বিন সালমান প্রশাসন। এর পর থেকেই পরিবারের কয়েকজন সদস্য নিয়ে সৌদি আরবে বসবাস করছেন সি’আর সেভেন। পর্তুগিজ এই তারকা গত বুধবার আল খালিজকে হারিয়ে দলকে নিয়ে গেছেন কিংস কাপের ফাইনালে।
সর্বশেষ ৭ ম্যাচের তিনটিতেই করেছেন হ্যাট্রিক। রোনালদো যখন মাঠে দুর্দান্ত দ্যুতি ছড়াচ্ছেন তখন তাঁর বোন কাতিয়া অ্যাভিয়েরো সৌদি আরবের প্রশংসা করে দেশটিকে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। সৌদি গণমাধ্যম আরব নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবে একা হাঁটা নিরাপদ কি না—এই প্রশ্নের জবাবে কাতিয়া অ্যাভিয়েরো পর্তুগিজ ভাষায় সামাজিক প্ল্যাটফরমে ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে বলেছেন, ‘একা একা হাঁটার জন্য যদি কোনো নিরাপদ জায়গা থাকে তবে তা এখানেই।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব নিরাপত্তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা। আপনি আপনার ফোন টেবিলে রেখে যেতে পারেন এবং কিছুই ঘটবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে কেউ আপনাকে অসম্মান করবে না এবং চুরির কোনো ঘটনাও নেই।’ তাই তিনি সৌদি আরবে সব সময় নিরাপদ বোধ করেন।
সৌদি স্পোর্টস ওয়েবসাইট অ্যাভিয়েরোকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘আপনি গাড়িতে চাবি এবং মানিব্যাগ রেখে যেতে পারেন।’
রোনালদোর সঙ্গী জর্জিনা রদ্রিগেজের সঙ্গে আল-আউয়াল পার্ক স্টেডিয়ামের ভিআইপি লাউঞ্জে বসে গত বুধবার খেলা দেখেছেন অ্যাভিয়েরো। সেই সময়ের একটি ছবি সামাজিক প্ল্যাটফরমে পোস্ট করে ক্যাপশনে অ্যাভিয়েরো বলেছেন, ‘আমরা আমাদের রাজার (ক্রিস্টিয়ানো) জন্য শুভকামনা জানাতে এসেছি।’
ইনস্টাগ্রামে অ্যাভিয়েরোর ফলোয়ার সংখ্যা ১৪ লাখেরও বেশি। গত বুধবার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেখানে গাড়ির ভেতর থেকে চিত্রায়িত রিয়াদের রাস্তার ভিডিও রয়েছে।
বুধবার রাতে আল নাসরের হয়ে রোনালদো দলের প্রথম এবং তৃতীয় গোল করেন। পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন সাদিও মানে। ম্যাচ শেষে পর্তুগিজ তারকা সামাজিক প্ল্যাটফরম এক্সে পোস্ট দিয়ে সেমিফাইনালের জয় উদ্যাপন করেছেন।
আগামী ৩১ মে কিংস কাপের ফাইনালে আল-নাসর মুখোমুখি হবে চীরপ্রতিদ্বন্দ্বী আল হিলালের।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post