থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক মারধর করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ইতোমধ্যে এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ভাওয়ালনগরের একটি থানায় আলোচিত এ ঘটনা ঘটেছে।
ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, পুলিশ সদস্যদের পেটানোর ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার। আর এগুলো ভাইরাল হয় বুধবার। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেনাদের দেখে দৌড়ে পালাচ্ছেন পুলিশের দুই সদস্য। কিন্তু তাদের মধ্যে একজনকে ধরে ফেলে সেনা সদস্যরা। এরপর তাকে মারধর করা হয়।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভাওয়ালনগরের ওই থানার পুলিশ সদস্যরা তিন বেসামরিক ব্যক্তিকে আটক করে এবং অবৈধ অস্ত্রের অজুহাতে তাদের কাছে টাকা দাবি করে। যে তিনজনকে আটক করা হয়েছিল তাদের এক সহযোগীকে ধরতে পুলিশ সদস্যরা সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার বাড়িতেও অভিযান চালায়।
বিষয়টি সেনা সদস্যদের ক্ষিপ্ত করে। এরপর সেনা সদস্যরা ভাওয়ালনগরের ওই থানায় অভিযান চালায়। এসময় থানায় আটক ছিলেন ওই তিনজন। থানায় অভিযান চালিয়ে আটক তিনজনকে ছাড়িয়ে আনতে যান সেনারা। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক মারধর করে সেনা সদস্যরা।
শুধু তাই নয়, বেসামরিক ব্যক্তিদের আটক ও তাদের কাছে অর্থ চাওয়ার চার পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে সেনাদের হাতে ব্যাপক পিটুনি খাওয়া এক পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
অবশ্য সেনাবাহিনীর থানায় হামলা চালানোর বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া এবং পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা করছেন পাঞ্জাব পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, পাঞ্জাবে সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের দমনে পুলিশ-সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে।
এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক ইনসাফ পাঞ্জাব পুলিশের প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তারা বলেছেন, পুলিশের জন্য এ ঘটনা একটি অপমানজনক বিষয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post