ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় মার্কিন মডেল হালিমা আদেন র্যাম্প (রানওয়ে) মডেলিং ছেড়ে দিচ্ছেন। আদেন বলেন, আমাকে ১০ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৪ হাজার ৭শ’ ৯২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) দেওয়া হলেও আমি হিজাব নিয়ে কোনো আপসের ঝুঁকি গ্রহণ করব না। আগের মতো হিজাব নিয়ে কোনো ছাড় দেব না।
২৩ বছর বয়সী হালিমাকে ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগের ব্রিটিশ ও আরবি সংস্করণে প্রচ্ছদে দেখা গেছে।-খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের। হালিমা আদেন বলেন, নিজের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মডেলিং ছেড়ে দিতে যাচ্ছি। যে কাজটি করছিলাম সেটি আমার ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থী কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এজন্য আমি নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে দোষারোপ করতে পারি না। এ সিদ্ধান্তের কারণে অনেকের কাছ থেকে সমর্থন পাচ্ছেনও হালিমা।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিবিসিকে তিনি বলেছিলেন, শালীনতা কোনো নির্দিষ্ট সংস্কৃতির জন্য নয়, কেবল বিশেষ কোনো সম্প্রদায়ের নারীর জন্যও নয় এটি। শালীনতাই হলো প্রাচীনতম ফ্যাশন। তিনি জানান, করোনা মহামারিকালে একজন মুসলিম নারী হিসেবে তার মূল্য কতটুকু, তা নিয়ে ভাবার সুযোগ হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ ম্যারাডোনার জীবনী
অবশেষে আমি উপলব্ধি করি যে ব্যক্তিগতভাবে আমার হিজাব পরিধানে ত্রুটি ছিল। তিনি আরও বলেন, সমাজে হিজাব পরিধান করে চলাচল করা সত্যিই একটি কঠিন কাজ।
পরবর্তীতে বিভিন্ন ফ্যাশন শোতে ‘শালীন’ পোশাক নির্বাচনের জন্য শিগগিরই তিনি পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। মার্কিন তারকা রিহানার ফেন্টি বিউটির প্রচারণাতেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাকে হিজাব পরতে দেয়ার কারণে ইন্সটাগ্রামে রিহানার প্রশংসাও করেছেন হালিমা।
আরো পড়ুনঃ কাতার প্রবাসীদের জন্য দারুণ সুখবর
সোমালিয়ান বাবা-মায়ের সন্তান হালিমার জন্ম কেনিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে। মাত্র ৬ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ১৮ বছর বয়সে মিস মিনেসোটা ইউএসএ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক মডেলিং এজেন্সি আইএমজির নজরে পড়েন। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় হিজাব পরা প্রথম নারী তিনিই।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post