ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপের সমস্যা বর্তমানে অতি পরিচিত। রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়ে গেলে তাকে বলা হয় নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা। রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে তাকে বলা হয় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। রক্তচাপের উভয় অবস্থাই বিপজ্জনক এবং অসাবধান হলে হতে পারে মারাত্মক পরিস্থিতি।
রক্তচাপের সমস্যা উচ্চ হোক বা নিম্ন উভয় অত্যন্ত গুরুতর। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি, হার্ট ফেইলিওর, দুর্বল দৃষ্টি, স্মৃতিশক্তি হ্রাস-সহ একাধিকম সমস্যার কারণ হতে পারে ব্লাড প্রেশারের সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যায় কী শুধুই ওষুধ ভরসা? মোটেও এমনটা নয়। কিছু ক্ষেত্রে জীবন যাত্রায় খুব ছোট্ট কয়েকটি পরিবর্তন আনলেই ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের লবণ খাওয়া উচিত সীমিত পরিমাণে। প্রতিদিন ১৫০০ মিলিগ্রামের কম সোডিয়াম খাওয়া উচিত উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের। পটাশিয়াম যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার। যেমনঃ- দই, ছানা, মাখন দুধ, পনির-সহ দুগ্ধজাত দ্রব্য প্রোবায়োটিকের ভাল উৎস।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা অনেকাংশে উপশম করা যায় ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। পেশীতে আঘাতের কারণ হতে পারে অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতা। এটি পরবর্তিতে হার্টের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন নিয়মিত ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে। উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন বেশি বেশি শারীরিক পরিশ্রম করে।
মানসিক চাপ কমিয়েও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার ব্লাড প্রেশারকে। মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান এবং যোগব্যায়াম করতে পারেন।
Discussion about this post