পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। মিসরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার লাখ লাখ ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ হিসেবে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশসহ ৯ দেশ।
আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যত ত্রাণ পৌছনো গিয়েছে, সেসবের ত্রাণের মধ্যে এই চালানটি সর্ব বৃহত্তম।
বাংলাদেশ ব্যতীত আরও বাকি আটটি দেশ হলো— যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি।
মিসরের অনলাইন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশ করবে মিসরের উত্তর সিনাই থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে। ‘গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রমজান শুরুর হওয়ার আগ পর্যন্ত আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি মোট ৪ হাজার টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্য পাঠিয়েছে। সর্বশেষ ত্রাণ পাঠানো হয়েছে গত ডিসেম্বরে।’
‘তবে এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য যত ত্রাণের বহর প্রবেশ করেছে, সেইসব ত্রাণের মধ্যে এই ত্রাণের বহরটি সবচেয়ে বড় ছিল। মোট ৮০টি দেশের অনুদানের ভিত্তিতে ত্রাণের বহরটি সাজানো হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্রাণ দিয়েছে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশ— বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাজ্য, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি।’
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিমান বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। একই সঙ্গে জলপথেও হামলা চালানো হচ্ছে।
গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে ইসরাইলি হামলায় ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৭২ হাজার। আহতদের মধ্যে বড় একটি অংশই হচ্ছে নারী ও শিশু। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post