সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সাড়ে ১৯ হাজারের বেশি অভিবাসীকে আটক করেছে। দেশজুড়ে এক সপ্তাহের অভিযানে আবাসন, শ্রম ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাদের আটক করা হয়। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে অভিবাসীদের আটকের এই তথ্য জানানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফনিউজ আজ এ খবর প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে বসবাস, শ্রম ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৯ হাজার ৪৩১ জনকে আটক করেছে সৌদির নিরাপত্তা বাহিনী। বিবৃতিতে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আবাসন আইন লঙ্ঘনের দায়ে ১১ হাজার ৮৯৭ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইনে ৪ হাজার ২৫৪ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘন করায় আরও ৩ হাজার ২৮০ জনকে আটক করা হয়েছে। গত ১৫ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে এই নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ ছাড়া সৌদি আরবে অবৈধ উপায়ে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ৯৭১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ ইয়েমেনি, ৫৭ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ৪ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি অবৈধভাবে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টার সময় আরও ৩৬ জনকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একই সময়ে সৌদির আবাসন, সীমান্ত এবং কাজের বিধিবিধান লঙ্ঘনকারীদের পরিবহণ, আশ্রয় এবং নিয়োগে জড়িত থাকার দায়ে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশটিতে আটক ৫৮ হাজার ৩৬৫ জন আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে কেবল নারীই রয়েছেন ৪ হাজার ৭২৯ জন। তাদের মধ্যে ৫০ হাজার ৮৩৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি আরও ৯ হাজার ৫৬৬ জনকে সৌদি আরব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে আসছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post