আকাশে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হতে যাচ্ছে। সুইজারল্যান্ডের সাথে সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করতে আগ্রহী হয়েছে সুইস কর্তৃপক্ষ। আগামী দুই মাসের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হবে।
এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটন শিল্পে নতুন গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও, সুইজারল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি এই আগ্রহের কথা জানান।
সুইজারল্যান্ডের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মাঝে এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হবে। এরপর আমরা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিচালনার বিষয়টি বিবেচনা করবো।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল রুটে বাংলাদেশের অবস্থান হওয়ায় আমরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য কাজ করছি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ ও নতুন টার্মিনাল নির্মাণসহ দেশের সব বিমানবন্দরের এভিয়েশন অবকাঠামোর উন্নয়নকাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি, আগামী অক্টোবরে থার্ড টার্মিনাল চালু হওয়ার পর আকাশপথের যাত্রীসংখ্যা ও কার্গোর পরিমাণ কয়েক বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হবে।
বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বছরেই বাস্তবায়ন শুরু হবে। এ ছাড়া বিদেশি পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারসহ দেশের আরও বেশ কিছু জায়গায় নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করছি। সেখানে সুইজারল্যান্ড বিনিয়োগ করলে আমরা তাদের সব সুযোগ-সুবিধা দেবো। পাশাপাশি ভিসা সহজীকরণ ও ই-ভিসা চালু করা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এভিয়েশন ও পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দেওয়ার এখনই উত্তম সময়।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেন, এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট নিয়ে বাংলাদেশ টিমের সঙ্গে কাজ করাটা ছিল আমাদের জন্য আনন্দের। বাংলাদেশ টিম নেগোসিয়েশনে প্রশংসনীয় দক্ষতা দেখিয়েছে। তাদের দক্ষতা ও সহযোগিতার জন্য সুইজারল্যান্ডের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।
রেতো রেংগলি আরও বলেন, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা আশা করছি বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের যে কাজ চলছে, তা দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। আমরা বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পে বিনিয়োগের জন্য সুইজারল্যান্ডের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলবো।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বিনিয়োগের জন্য একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন যাতে বাংলাদেশ সফর করে, সেই ব্যাপারে উদ্যোগ নেবো। এ ছাড়া পর্যটনের উন্নয়নের জন্য যে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে, তা আমরা বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠাবো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post