‘উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের বিমানবন্ধরগুলোর সেবার মান আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফরেন (বিদেশি) যাত্রীদের আকৃষ্ট করেছে দেশের বিমানবন্দরগুলো।
দেশে বিমানবন্দরগুলোতে যেভাবে সেবার মান বৃদ্ধি করা হচ্ছে এতে করে বাংলাদেশ থেকে বাইরে যাওয়া ও দেশে আসা দুটোতেই যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে। যাত্রীরা বর্তমানে স্বাচ্ছন্দ্যে বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন’ উল্লেখ করে এই সেবার মান বৃদ্ধিতে সরকার সব সময় দৃষ্টি অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর এ এফ এম আতিকুজ্জামান।
রবিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন তিনি এসব কথা বলেন।
এয়ার কমডোর এ এফ এম আতিকুজ্জামান বলেন, করোনাকালীন সময়ে মানুষ দেশের বাইরে তেমন আসা যাওয়া করতে পারেননি। ফরেন যাত্রীরাও আসতে পারেননি। এছাড়াও বিমানবন্দর দিয়ে তেমন আমদানি-রপ্তানি হয়নি। তখন সারা বিশ্বেই আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী সংখ্যা কমে যায়। এরপর আমাদের দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বিমানবন্দর দিয়ে চলাচলে মানুষ এখন ফ্রিডম (স্বাধীনতা) পাচ্ছে। যাত্রীরা সহজেই বিমান সেবা পেয়ে যাতায়াত করতে পারছেন। এতে করে বর্তমানে যেমন যাত্রীর যাতায়াত বেড়েছে তেমনি বিমানবন্দরের আয় বাড়তে শুরু করেছে।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় এর সুফল বিমানবন্দরগুলো পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশের সব সেক্টরেই অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত হয়েছে। এতে করে বিমানবন্দরগুলোও এর সুফল পাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের বিমানবন্দরগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এতে করে যাত্রীসেবার মান আগের চেয়ে অনেকগুন বেড়েছে। টার্মিনালগুলোতে আধুনিক মানের যাত্রীসেবা নিশ্চিতে কাজ করছে বেবিচক (বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষে )।
দেশের মেঘা প্রকল্পে ফরেনারদের (বিদেশি যাত্রী) মুভমেন্ট বাড়ছে উল্লেখ করে আতিকুজ্জামান বলেন, সরকার দেশে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এর সুফল দেশের মানুষের পাশাপাশি বিদেশিরাও উপভোগ করছে। অনেক মেগা প্রকল্প ফরেন যাত্রীদের আকৃষ্ট করছে। বিদেশ থেকে আমাদের দেশে অনেক ফরেন যাত্রীরা পর্যটক হিসেবে আসছেন। বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রের উন্নয়ন এখন তাদের নজর কারছে।
এছাড়াও শ্রম রপ্তানি, শিক্ষাগত অভিবাসন, দেশের বাইরে চিকিৎসাগ্রহণ, অবসর পর্যটন ও ব্যবসাযি়ক ভ্রমণ বৃদ্ধিসহ এমন আরও অনেক কারণে বিমানবন্দরে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে বিদেশি পর্যটকেরা যেন বাংলাদেশের পর্যটনগুলোর আকর্ষণ সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এক্সপোর্ট-ইম্পোর্টে আন্তর্জাতিক মানের সেবা দেওয়া হচ্ছে, বিদেশি অনেক যাত্রী ও কার্গো এয়ারলাইনস দেশে আসছে। সহজেই যাত্রীরা বিমানবন্দর ব্যবহার করে মালামাল বহন করতে পারছে। আগে অনেক সময় মালামাল খালাসে বেগ পেতে হতো, অনেকে কিছুটা হয়রানির শিকার হতেন। এখন আর বিমানবন্দরে সেই অভিযোগগুলো নেই। এতে করে বিমানবন্দর দিয়ে এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট (আমদানি—রপ্তানি) বেড়েছে।
উল্লেখ্য গত বছরের তুলনায় বিমানবন্দরে প্রায় ২৩.৪ শতাংশ বেশি যাত্রী যাতায়াত করেছে। এদের অধিকাংশই আন্তর্জাতিক যাত্রী। যাত্রীসংখ্যা বাড়ায় ২০২২—২৩ অর্থবছরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রায় ২ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা আয় করেছে বলে তথ্য রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post