বন্ধুর অব্যবহৃত অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে অজ্ঞাত কয়েকজন বাংলাদেশীকে দেখে বিস্মিত হয়েছেন মালয়েশিয়ার সেলানগরে এক ব্যক্তি। গত ১০ বছর ধরে খালি ওই অ্যাপার্টমেন্টে কোনো লোক থাকার কথা না হলেও সেখানে গিয়েই দেখা মেলে অচেনা এসব মানুষদের।
শ্রীলাবু কেদাহ নামে ব্যক্তি জানিয়েছেন, তার বন্ধু ইস্টকোস্ট এলাকায় থাকেন। তার সম্পত্তিটি বিক্রির জন্য অনুরোধ করেন৷
কেদাহ বলেন, পুচংয়ে আমার বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্ট। সে গ্রামে থাকে। বাসাটি কেনার পর থেকে তার এখানে থাকা হয়নি৷ তিনি আমাকে অনুরোধ করেন, তার অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রিতে সহায়তা করতে। যেহেতু আমার বাসা সেরেমবান, পুচংয়ের কাছেই, তাই আমি সাহায্য করতে রাজি হই৷ তিনি বাসার চাবি পাঠিয়ে দেন।
তিনি বলেন, আমাকে মালিক জানিয়েছেন তিনি কখনোই ওই বাসায় থাকেননি এবং কেনার পর থেকেই ফাঁকা রয়েছে৷ তবে আমি বাসায় পৌঁছে দেখি সেখানে মানুষ রয়েছে। আমি মালিককে আবারো জিজ্ঞাসা করলে জানান, তিনি নিশ্চিত বাসা খালি রয়েছে। অথচ আমি দেখি সেখানে কয়েকজন বাংলাদেশি দিব্যি অবস্থান করছেন।
এই ঘটনায় শুধু আমি না, মালিক এবং অ্যাপার্টমেন্ট কর্তৃপক্ষও বিস্মিত হয়েছেন। তার কথানুযায়ী ১০ বছর আগে অ্যাপার্টমেন্ট কেনার পর থেকে এটি খালি রয়েছে। কখনোই ভাড়া দেয়নি তিনি।
কেদাহ বলেন, আমার মনে হয়েছে এই বিদেশিরা সত্যি সাহসী। আমরা স্থানীয়রাও কখনো এই সাহস করব না, আরেকজনের ফাঁকা বাসা দখল করে থেকে যেতে। এই বিদেশিরা মালয় বা ইংরেজি বলতে পারছিল না। তবে উল্টা আমাকে প্রশ্ন করছিলেন, এটা যে আমার বন্ধুর অ্যাপার্টমেন্ট, তার প্রমাণ কী?
পরে জিজ্ঞাসাবাদের বাংলাদেশি ব্যক্তিরা জানান, তারা অনেক বছর ধরেই এই বাসায় থাকছেন কোন ভাড়া দেয়া ছাড়া। এমনকি বাসাটিতে তারা পানির সংযোগ স্থাপন করেছেন প্রতিবেশীর বাসা থেকে। এছাড়াও কীভাবে তারা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন, তার কোনো উত্তর জানা গেলো না।
পরবর্তীতে পুলিশ ও ইমিগ্রেশন বিভাগে অভিযোগ জানান কেদাহ। তিনি বলেন, সকলকেই তাদের নিজেদের ফাঁকা বাসা সম্পর্কে সতর্কতা থাকতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post