গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দেশটির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় অভিযোগের বিষয়টি নাকচ করে দেন দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতরাতে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে অভিযোগের কোনো কিছু গাজায় পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে কিনা। বিষয়টির সঙ্গে আপনি একমত কি না।
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, শুনানির কোনো বিষয় নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করা সমীচীন নয়। অভিযোগের বিষয়ে ইসরায়েলের সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ রয়েছে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। আইসিজে জাতিসংঘের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান। এটি শান্তি বজায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। তবে গতকাল রাতের মতো এখনও বলতে চাই যে গাজায় গণহত্যার প্রমাণ পায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানতে চাওয়া হয়, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে হামাসের অস্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে। আপনি এ বিষয়ে একমত কি না। দক্ষিণ আফ্রিকা বিষয়টিকে প্রভাবিত করছে কি না।
জবাবে প্যাটেল বিষয়টি নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, এটি আমরা এভাবে কাউকে আখ্যা দিতে পারি না। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার অভিযোগের বিষয়ে বলতে গেলে জোর দিয়ে বলছি, গাজায় গণহত্যার কিছু পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরের শেষে গাজায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে হামলা বন্ধের দাবিতে আইসিজেতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রায় তিন মাসের ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে সাড়ে ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এসব নিহতের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার শিশু রয়েছে।
মামলার আবেদনে ৮৪ পৃষ্ঠার নথি সংযুক্ত করেছে দেশটি। এতে ইসরায়েলেরর বিরুদ্ধে ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post