চীনের রাজধানী বেইজিং থেকে শুরু করে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লিয়াওনিংসহ বিভিন্ন শহর ও প্রদেশে শিশুদের মধ্যে রহস্যময় নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি ও বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার আক্রান্ত শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন অভিভাবকরা। শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর এরই মধ্যে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার মতো মহামারির আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে অনেকের মাঝে।
তবে এ বিষয়ে চীনা সরকারের কাছে বিস্তারিত তথ্যও চেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীনের সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্পর্কিত অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তাবিষয়ক এই সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচওর আহ্বানে রোগটি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করেছে চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিশন জানিয়েছে, আক্রান্ত শিশুদের পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তাদের দেহে নতুন ধরনের কোনো জীবাণু পাওয়া যায়নি, বরং মাইকোপ্লাজমা নামে এক ধরনের পরিচিত ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাইকোপ্লাজমা বেশ পরিচিত একটি ব্যাকটেরিয়া যা শিশু ও বয়স্ক উভয়ের দেহেই সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। বয়স্কদের মধ্যে যারা এই ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের শিকার হন তাদের মধ্যে ঠাণ্ডা, জ্বর, সর্দি ও মৃদু শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা যায়। সাধরণ ওষুধে কিংবা ওষুধ ছাড়াই এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে তা সেরেও যায়। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে তা খানিকটা ভিন্ন। কারণ, তাদের শ্বাসতন্ত্র বয়স্কদের মতো শক্তিশালী নয়। ফলে শিশুদের ক্ষেত্রে রহস্যময় এই নিউমোনিয়া সত্যিকারের নিউমোনিয়া হয়ে গুরুতর অবস্থায় রূপ নিতে পারে।
ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের পাঠানো এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, নতুন কোনো জীবাণু এই নিউমোনিয়ার জন্য দায়ী নয়।
মাইকোপ্লাজমা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে স্বীকৃত ওষুধ রয়েছে। ফলে এই রোগটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লেও করোনা মহামারির মতো বড় কোনো হুমকি সৃষ্টি করবে না বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post