আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এএসআই রাজীবের নেতৃত্বে নুরুল আমিন নামের এক সৌদি আরবগামী যাত্রীকে মারধর করা হয়েছে। অটোরিকশা পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জেরে শনিবার তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন। এ কারণে তিনি তার ফ্লাইটে বিদেশ যেতেও পারেননি। নুরুল লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, বিকালে ফ্লাইট ধরতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাই। গাড়ি পার্কিং নিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হলে এপিবিএনের ওই এএসআইয়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমাকে একটি কক্ষে নিয়ে মারধর করে এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। সেখানে চিৎকার শুরু করলে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা অন্য কক্ষে নিয়ে যান এবং সমঝোতার চেষ্টা করেন।
বিমানবন্দরে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবদুল কুদ্দুস বলেন, একজন যাত্রীকে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি কার অপরাধে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ দোষী না প্রবাসী।
বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা জানান, বিমানবন্দরে প্রবাসী যাত্রীরা প্রায়ই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বখশিশের নামে বিমানবন্দরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য, গাড়িচালক এবং বহিরাগতরা এ হয়রানি করছে। ট্যুরিস্ট ভিসার যাত্রীরা শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে বিদেশে যেতে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগে কন্ট্রাক্ট করতে হয়। না করলে তারা (ইমিগ্রেশন) হয়রানি করে। আবার বিমান থেকে নামতেই হয়রানি শুরু হয়। দেখা যায়, কাস্টমস কর্মকর্তারা অবৈধ মালামাল খোঁজার অজুহাতে লাগেজ খুলে তন্নতন্ন করেন। অবৈধ মালামাল না পেলেও তারা লাগেজ বেঁধে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন না। এ কারণে বিমানবন্দরেই প্রবাসীদের অনেক মালামাল খোয়া যায়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post