মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ কুয়েতে প্রায় আড়াই লাখেরও বেশি বাংলাদেশির বসবাস। জীবিকার তাগিদে সত্তর দশক থেকে কুয়েতে প্রবেশ করতে শুরু করে বাংলাদেশের কর্মজীবী মানুষ। সময়ের ব্যবধানে তারা নিজেদের মেধা ও শ্রম দিয়ে সে দেশে ভালো অবস্থান তৈরি করেছেন।
তাদের অনেকে দেশটিতে পরিবার নিয়ে স্থায়ী বসবাস করছেন। কিন্তু বাংলা পড়ানোর জন্য কুয়েতে কোনো বাংলাদেশি স্কুল না থাকায় ছেলে-মেয়েরা ভিনদেশি স্কুলে লেখাপড়া করে বিদেশি ভাষায় আকৃষ্ট হচ্ছে। হারিয়ে ফেলছে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এমনকি ভিনদেশি স্কুলে পড়া এসব ছেলে-মেয়েরা নিজ দেশের ভাষাটাও ভুলতে বসেছেন।
বাংলা ভাষা না জানার কারণে বাংলাদেশি ছেলে-মেয়েরা কথা বলেন হিন্দি, ইংরেজি ও আরবিতে। এতে করে সন্তানদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে অভিভাবকদের। কুয়েতের ভুক্তভোগী প্রবাসী অভিভাবকরা জানান, বাংলাদেশি স্কুল না থাকায় সন্তানদের নিয়ে বিপাকে আছেন। এখানের বাংলাদেশি বাচ্চারা অনেকেই বাংলা বলতে পারে না। বাংলা বর্ণমালা চিনে না। তাদের চাওয়া, সরকার এবং স্থানীয় কমিউনিটি নেতাদের উদ্যোগে কুয়েতে একটি বাংলাদেশি স্কুল গড়ে উঠুক।
এর আগে কুয়েতে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি স্কুল চালু হলেও অজানা কারণে সেটিও কিছুদিন পর বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে কমিউনিটি নেতারা বলছেন, বাংলাদেশি স্কুল না থাকায় ভাষা ও সংস্কৃতিতে পিছিয়ে পড়ছে শিশুরা। তাই দ্রুতই দেশটিতে একটি বাংলাদেশি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post