গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পানি, খাবারসহ কিছুই প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। এমন অবস্থায় জেনারেটের জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে হাসপাতালে ইনকিউবেটরে থাকা প্রিম্যাচিউর শিশুরা বলছে জাতিসংঘ।
গত শনিবার থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকার ত্রাণ প্রবেশ করলেও জ্বালানি প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, গাজার হাসপাতালে জ্বালানী সরবরাহ করতে দিতে ইসরায়েলের অস্বীকৃতির কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে ১২০ প্রিম্যাচিউর শিশু। খবর আল জাজিরা।
দখলদার ইসরায়েল বাহিনী হাসপাতালের জেনারেটরগুলোর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানীও সরবরাহ করতেও বাঁধা দিচ্ছে।
রবিবার, ইউনিসেফ সতর্ক করে জানায় যে গাজার হাসপাতালে ইনকিউবেটরে রয়েছে ১২০ শিশু – যার মধ্যে ৭০টি অকাল নবজাতক ভেন্টিলেটরে রয়েছে। ইসরায়েল থেকে গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার পর থেকে ব্যাকআপ জেনারেটরের উপর নির্ভরশীল এসব শিশুদের জীবন।
গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য দাতব্য চিকিৎসা সহায়তার পরিচালক, ফিকর শালটুট বলেছেন, জেনারেটর চালানো বন্ধ হলে প্রিম্যাচিউর এসব শিশু বেঁচে থাকতে পারবে না।
তিনি বিবিসিকে বলেন, “আমাদের এখানে একটি ৩২ সপ্তাহ বয়সী শিশু আছে, বিমান হামলায় শিশুটির মা নিহত হওয়ার পর চিকিৎসকরা শিশুটিকে অনেক কষ্ট করে বাঁচাতে পেরেছিলেন। মা এবং পুরো পরিবার মারা গেলেও শিশুটি রক্ষা পেয়েছে।”
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল অনুসারে গাজায় প্রতিদিন প্রায় ১৬০ জন মহিলা সন্তান জন্ম দেয়, এছাড়া প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির এই ভূখণ্ডটিতে ৫০ হাজারের মত গর্ভবতী মহিলা রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post