শুক্রবার কুয়েতি মুদ্রা দিনারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ মূল্য পাওয়া গেছে। এক কুয়েতি দিনারে মিলেছে ৩৭৬ টাকার মতো। তবে মূল্য সর্বোচ্চ হলেও কুয়েত থেকে রেমিটেন্স প্রবাহে ভাটা পড়েছে।
বলা হচ্ছে, কুয়েতে বর্তমানে অসংখ্য বাংলাদেশি কর্মহীন। আবার অনেকের আগের মতো বাড়তি আয়ের উৎস নেই। এছাড়া আবাসন খরচও আগের চেয়ে বেড়েছে। যা মেটাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন প্রবাসীরা।
সম্প্রতি কুয়েতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কোম্পানির শ্রমিক সরবরাহের চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। এদের অনেকে নতুন কাজের খোঁজে নতুন কোম্পানিতে আকামা স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। এতে খরচ হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা। কেউ কেউ এই খরচ দিতে না পেরে দেশে চলে আসছেন। একই সময়ে দেশটিতে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে চলছে ধড়পাকড়। মূলত এসব কারণ রেমিটেন্স প্রবাহে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
কুয়েতের একটি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির ব্যবস্থাপক জানান, তাদের অনেক নিয়মিত কাস্টমারের অবস্থাই এখন বেশ শোচনীয়। প্রবাসীদের কম আয়ের সঙ্গে আরও একটি কারণের কথা জানান তিনি। আর সেটা হলো হুন্ডি। যাদের আয় ভাল, তারা দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন, কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে।
কয়েক বছর আগেও রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় কুয়েতও ছিল। এই ধারা অব্যাহত রাখতে দক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাজে লাগানো ও আবাসন খরচ কমিয়ে আনাকে জরুরি মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post