তালেবান ক্ষমতায় আসার পর ক্রমেই বাজে পরিস্থিতির দিকে গেছে আফগানিস্তানের অর্থনীতি। মানবাধিকার লঙ্ঘন নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন এ কথাই বলছে। তবে এবার প্রথমবারের মতো তালেবান প্রশাসন নিয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদন এল। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, বর্তমানে বিশ্বসেরা মুদ্রার নাম আফগান আফগানি।
শত কোটি ডলারের মানবিক সহায়তা এবং প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় চলতি কোয়ার্টারে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের সেরা মুদ্রা হয়েছে আফগানি। ব্লুমবার্গের বরাতে এমন তথ্যই দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু। দারিদ্রপীড়িত একটি দেশের জন্য এটি অনেক বড় পাওয়া বলেই মনে করা হচ্ছে।
দুই বছর আগে ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তানের তালেবানরা। অর্থনীতিও বাদ যায়নি। দেশের অভ্যন্তরে ডলারসহ বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি পাকিস্তানি রুপিও নিষিদ্ধ করে তালেবান প্রশাসন। অনলাইনে লেনদেন করাও কমে যায়। এসব আইন না মানলে শাস্তিও কার্যকর করা হয়।
মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ, সরাসরি লেনদেন ও রেমিটেন্সের কারণে চলতি কোয়ার্টারে আফগানির মান ৯ শতাংশে উন্নীত হয়। এটি কলম্বিয়ার মুদ্রা পেসো থেকে ৩ শতাংশ বেশি। এ নিয়ে চলতি বছর আফগানির মান উন্নীত হলো ১৪ শতাংশে। সে হিসেবে এটি এ বছর বিশ্বের তৃতীয় সেরা মুদ্রা। এ তালিকায় প্রথম দিকে রয়েছে কলম্বিয়া ও শ্রীলঙ্কা।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক নিউ লাইন ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসির মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কামরান বুখারি বলেন, ‘মুদ্রার কঠোর নিয়ন্ত্রণ কাজে দিয়েছে। তবে এটি সাময়িক। এ কারণে পরে আরও সংকটে পড়তে হবে দেশটিকে।’
আফগানিস্তানে এখন বিদেশি মুদ্রার লেনদেন হয় মানি চ্যাঞ্জারের মাধ্যমে। এদের বলা হয় সারাফ। বিদেশি নিষেধাজ্ঞার কারণে এখন সব ধরনের মুদ্রাই দেশটিতে প্রবেশ করে আফগানির মাধ্যমে। এমনকি দেশটির ভেতরে কোনো বিদেশি মুদ্রার কার্যক্রম চলে না।
আপনার মন্তব্য: