মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী চালকদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কুয়ালালামপুরে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে লাইসেন্স ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ি চালানোর অপরাধে বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এসময় ৬৮টি যানবাহন জব্দ ও ২৮০ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টম্বর) কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে ‘অপারেশন ফরেন ড্রাইভার’ (ওপি পেওয়া) নামে এই অভিযান পরিচালনা করে কুয়ালালামপুর ফেডারেল টেরিটরির সড়ক পরিবহন বিভাগ (জেপিজে) ও রাজধানী কুয়ালালামপুর অভিবাসন বিভাগ।
কুয়ালালামপুর ফেডারেল টেরিটরির সড়ক পরিবহন বিভাগের উপ-পরিচালক এরিক জুসিয়াং জানান, অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধের জন্য ২৮০ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে। অভিযানটি সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা নাগাদ চলে। অভিযানে কুয়ালালামপুর ফেডারেল টেরিটরির সড়ক পরিবহন বিভাগের ৬৮ জন সদস্য ও কুয়ালালামপুর অভিবাসন বিভাগের ১১ জন সদস্য অংশ নেন।
এরিক বলেন, অভিযানে ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, রোড ট্যাক্স, বীমা কভারেজসহ বিভিন্ন অপরাধে ৫৬৪টি যানবাহন পরিদর্শনের মধ্যে ৬৪টি মোটরসাইকেল, দুটি গাড়ি ও দুটি লরিসহ ৬৮টি যানবাহন জব্দ ছাড়াও মোট ২৮০ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। এই যানবাহনগুলোর বেশিরভাগই স্থানীয় মালিকদের কাছ থেকে ভাড়া বা ক্রয় করেছে বিদেশিরা। বৈধ ট্রাভেল ডকুমেন্ট ও দেশটিতে অতিরিক্ত সময় অবস্থানের কারণে কুয়ালালামপুর ফেডারেল টেরিটরির সড়ক পরিবহন বিভাগ (জেপিজে) ও দেশটির অভিবাসন বিভাগের যৌথ অভিযানে ৪৯ জন বিদেশি চালককেও আটক করা হয়। তারা সবাই ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ পাওয়া গেলে চালক এবং মালিকের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইন ১৯৮৭ এর ৬৪ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হবে।
আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশের নয়, মিয়ানমারের ১৯, পাকিস্তানের ১৩, ভারতের সাতজন এবং ইন্দোনেশিয়ার একজন নাগরিক রয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে সেলাঙ্গর রাজ্যের সুঙ্গাই বুলোহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে ও বাকিদের কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post