ভারতীয় এয়ারলাইনস আকাসা এয়ারের যাত্রা শুরু হয়েছিল গত বছরের আগস্টে। এক বছর পার হতে না হতেই এয়ারলাইন্সটি থেকে গণহারে চাকরি ছাড়তে শুরু করেছেন পাইলটরা। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নোটিশ পিরিয়ড বাকি থাকতেই তারা চলে যাচ্ছেন অন্য প্রতিষ্ঠানে। ফলে বন্ধ হয়ে যাওয়ারে শঙ্কায় পড়েছে ভারতীয় এয়ারলাইন্সটি।
সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টে নিজেদের সংকট পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে ইস্তফা দেওয়া পাইলটদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আকাসা এয়ার। আদালতে তারা জানায়, একসঙ্গে ৪৩ পাইলট চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় বড় ধরনের বিপাকে পড়েছে তারা। সাধারণত পাইলটদের চাকরি ছাড়ার নোটিশ পিরিয়ড থাকে ছয় মাস থেকে এক বছর। কিন্তু চাকরি ছেড়ে দেওয়া এসব পাইলট সেই নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে নোটিশ পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগেই চলে যাচ্ছেন অন্য প্রতিষ্ঠানে। চাকরি ছেড়ে দেওয়া কর্মীদের কেউ ছিলেন ফার্স্ট অফিসার, আবার কেউবা ছিলেন ক্যাপ্টেন।
আকাসা এয়ারের আইনজীবী আদালতে জানান, পাইলটদের এভাবে গণহারে চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে গত আগস্টে ৬০০-৭০০ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। এ মাসে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। চলতি মাসে প্রতিদিন প্রায় ২৪টি করে ফ্লাইট বাতিল করতে হচ্ছে। এতে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে সংস্থাটিকে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে পুরো এয়ারলাইন্স পরিষেবা বাতিল করা ছাড়া আকাসা এয়ারের সামনে আর কোনো পথ খোলা থাকবে না। এ অবস্থায় নিয়ম লঙ্ঘন করা পাইলটদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা দিল্লি হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার আকাসা এয়ারের সিইও বিনয় দুবে জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক পাইলট নোটিশ পিরিয়ড না মেনেই কর্মক্ষেত্র ছেড়ে চলে গেছেন। ফলে গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিমান পরিষেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শত শত ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার আকাসা এয়ার প্রতি দিন বিভিন্ন রুটে ১২০টি বিমান চালায়। এসব বিমান চালাতে যেসব পাইলটদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, গত কিছুদিনে তাদের মধ্যে ৪৩ জন চাকরি ছেড়েছেন। তাদের বেশিরভাগই যোগ দিয়েছেন প্রতিযোগী সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসে।
সূত্র: এনডিটিভি
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post