ওমান প্রবাসী মোহাম্মদ মামুন। কথা ছিলো মাসখানেকের মধ্যে বিয়ে করার জন্য দেশে ফিরবেন। দেশে ফিরেছেন, তবে কফিন বন্দী হয়ে। ওমানে একটি ভবনের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় মামুনের। তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নুরুল ইসলামের ছেলে।
শ্রমিক হিসেবে কাজ করা মামুনের ভিসা না থাকায় লাশ দেশে আনা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিলো। তবে গত মঙ্গলবার বিশেষ ব্যবস্থায় তার লাশ দেশে আনা হয় এবং একইদিন দুপুর ২টায় জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হয়। নিহত মামুনের মা আনোয়ারা বেগম সন্তানের শোকে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। আর বিলাপ করে কেঁদে কেঁদে সন্তানের বিয়ে করতে আসার কথা বলছিলেন।
স্বজন মোহাম্মদ আলী রুস্তম জানান, ওমানে মামুন দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। সম্প্রতি তার ভিসার মেয়াদ শেষ হলে অর্থ সংকটে তা আর বাড়াতে পারেননি। গত ১০ আগস্ট ওমানের মুবালা সানাইয়া ৮ নম্বর এলাকায় তার আবাসস্থলের একটি ভবনের তিনতলা থেকে দুর্ঘটনাবশত পড়ে যায় মামুন। তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মামুনের বাবা নুরুল ইসলাম জানান, চার সন্তানের মধ্যে বড় মামুন। পরিবারে সচ্ছলতা আনতে গত দশ বছর আগে অল্প বয়সে ওমানে যায়। মাসখানেকের মধ্যেই বিয়ে করার জন্য তার দেশে আসার কথা ছিলো। তার জন্য বউ ঠিক করে কেনাকাটাও শেষ পর্যায়ে ছিলো। সে দেশে আসলে তারিখ নির্ধারণ করার কথা ছিলো। কিন্তু তার আগেই মর্মান্তিকভাবে চলে গেলো।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post