হিরো আলম এখন বহু চর্চিত নাম। পড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে উচ্চ মহলের সাংস্কৃতিক বোদ্ধাদের আলোচনায় স্থান করে নিয়েছেন এরই মধ্যে। নানা কাজের মধ্য দিয়ে ভাইরাল হয়েছেন বারংবার। কেউ বলছেন বিপরীত পরিবেশ ঠেলে উঠে আসার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিরো আলম। আবার কেউ কেউ ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’র উদাহরণ হিসেবেও সামনে আনছেন এই নামটি। দেশীয় গণমাধ্যম ছেড়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও নিয়মিত প্রান্তিক থেকে উঠে আসা নামটি। নেট দুনিয়ার কল্যাণে তার টুকটাক এখন সবার জানা।
আসল নাম আশরাফুল আলম। দরিদ্র এক পরিবারের সন্তান। বগুড়ায় করতেন ডিসের ব্যবসা। শখের বসে ভিডিও তৈরি করে ছাড়তেন ইউটিউবে। নিজেই নিজের নামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন ‘হিরো’ শব্দটি। আজ সেই নামেই পরিচিত তিনি। এক নামে সবাই চেনে হিরো আলমকে।
জনমনে প্রশ্ন থাকাই স্বাভাবিক, এমন তো কতজনই ভিডিও তৈরি করে। ক’জন এমন পরিচিতি পায়? হিরো আলম এমন পরিচিত পেলেন কিভাবে? কিংবা কে তাকে ঢাকায় এনে এমন পরিচিতির পথ তৈরি করে দিলেন? সেই মানুষটি হল ইসরাফিল শাহিন।
২০১৬ সালের জুন মাস। বেসরকারি টেলিভিশন ইটিভির সেদিনের ব্যস্ততাও ছিল নিত্যদিনের মতোই। একটি অনুষ্ঠানের শুটিং চলছিল। বিরতিতে খোশগল্পে মেতে ওঠেন অনুষ্ঠানের প্রডিউসার ইসরাফিল শাহিন ও উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস। এক ফাঁকে ইসরাফিল শাহিনকে হিরো আলমের একটি ভিডিও দেখান দেবাশীষ বিশ্বাস। সঙ্গে সঙ্গেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন শাহিন। ক্যাপশনে লেখেন- ‘এই হলো বর্তমানের আসল হিরো, বাকি সব জিরো।’ মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। ইসরাফিল শাহিন নিজেই জানাচ্ছিলেন সেই গল্প।
জানালেন, তার এই পোস্টটি দেখে যোগাযোগ করেন সুরকার মুরাদ নূর। তিনি হিরো আলমের মোবাইল নম্বরও ইসরাফিল শাহিনকে পাঠিয়ে দেন। তখনই ফোন করে ঢাকায় ডেকে আনেন হিরো আলমকে। ওই সময়ে হিরো আলমের সঙ্গে তোলা একটি ছবিও ফেসবুকে পোস্ট করেন ইসরাফিল শাহিন। তার দাবি- ‘এই সময়ের আগে ঢাকার কেউ হিরো আলমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বা চিনত এমন প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবেন না।’
বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য হিরো আলমকে ফোন করা হলে তিনি গণমাধ্যমের কাছে সত্যতা স্বীকার করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post