কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় শারমিন আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধুর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের স্বামী সিঙ্গাপুর থেকে আসার তিন দিন পর এ ঘটনা ঘটে। শারমিন আক্তারের পরিবারের দাবী পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেবপুর ফাঁড়ির পুলিশের এস আই মো. রাজিব।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের আবিদপুর গ্রামের মৃত: সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে শারমিন আক্তারের সাথে একই উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী এরশাদ (৪৫) এর সাথে প্রেমের সম্পর্কে উভয় পরিবারের সমন্বয়ে তাদের বিবাহ হয়। গত বছর বিয়ের কয়েক মাস পর দেবপুর আজগর আলী বিল্ডিংয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রীকে রেখে স্বামী এরশাদ প্রবাসে চলে যায়।
বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ভাবে স্ত্রীকে সন্দেহ করতে শুরু করে স্বামী। বিভিন্ন সময়ে কাবিনের বিষয়েও ঝগড়া হয় তাদের মধ্যে এবং দীর্ঘদিন মোবাইলে কথা বলাও বন্ধ রাখেন।সিঙ্গাপুর থেকে আসার তিনদিন পর গত শুক্রবার রাতে দেবপুর আজগর আলী বিল্ডিংয়ের ভাড়া বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে পেচিয়ে আত্মহত্যা করে মৃত্যুবরণ করেছে এমন প্ররোচনা দিয়ে শ্বশুর বাড়িতে এবং পুলিশকে মোবাইল ফোনে জানান এরশাদ। পরে দেবপুর ফাঁড়ির এসআই রাজিব পুলিশ ফোর্স গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নিহত শারমিন আক্তারের মা নেহেরু জানায়, মেয়ের শরীরের একাধিক নির্যাতন দাগ রয়েছে এবং পরিকল্পিত ভাবে তার মেয়ে হত্যা করেছে জামাই এরশাদ। প্রশাসনের কাছে তার মেয়ের হত্যার বিচার চেয়ে বুড়িচং থানাতে নিহত শারমিনের স্বামী ও শ্বদশুড়সহ তিন জনের বিরুদ্ধে নামীয় আসামি করে একটি এজহার দায়ের করেন। এজহারের পর স্বামী এরশাদকে গ্রেফতার করে দেবপুর ফাঁড়ির পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন এসআই রাজিব।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, এ বিষয়ে বুড়িচং থানাতে একটি মামলা করেছে নিহতের মা। মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের রির্পোটের পর বলা যাবে। আইনগত প্রক্রিয়াধীন চলমান রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post