দেশে যখন ডলার সংকটের কারণে থমকে গেছে বৈদেশিক বাণিজ্য। ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে কয়লা, এলএনজি ও জ্বালানি তেল আমদানিতে। ডলারের ঘাটতি থাকায় ব্যাহত হতে পারে উৎপাদন। ফলে, গ্রীষ্মে বাড়তে পারে লোডশেডিং। এছাড়াও আসন্ন রমজানে নিত্যপন্যের দাম নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে। আর ঠিক এমন সংকটের মধ্যেই আসার আলো দেখাচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স।
১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানাগেছে, চলতি মাসে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ডলার বা ৬৬২ কোটি টাকা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রায় ২০০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় আসবে। চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৭ দিনে দেশে এসেছে প্রায় ১১ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এসময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৬ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৮৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে এবং হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠাতে নানা উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সাম্প্রতিক সময়ে বৈধ পথে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আসন্ন দুটি বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহায় রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে বলে আশা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post