একাত্তরে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যার স্বীকৃতির গণহত্যার স্বীকৃতির আবেদন পর্যালোচনা করছে কানাডিয়ান মিউজিয়াম ফর হিউম্যান রাইটসে (সিএমএইচআর)। কানাডায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
হাইকমিশন জানায়, পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট জাদুঘর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে ড. জেরেমি ১৯৭১ সালে ঢাকা ও সংলগ্ন যে সমস্ত এলাকায় গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, ওই স্থানগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করবেন এবং একই সঙ্গে ১৯৭১ সালের গণহত্যায় নিহত পরিবারের সদস্য ও গণহত্যায় বেঁচে যাওয়া নির্যাতিতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এ ছাড়াও তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নীতিনির্ধারক এবং গণহত্যা ইস্যুতে অন্যান্য জাতীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশে তার অবস্থানকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যৌথভাবে ড. জেরেমিকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
উল্লেখ্য, এ বিষয়ে আবেদনের পর, দেওয়ান হোসনে আইয়ুব মিনিস্টার, কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ইন কানাডা (বিসিবিএস), মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর (এমএলডব্লিউ), ঢাকা, কনফ্লিক্ট অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট কানাডাসহ (সিআরআরআইসি) ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের সহযোগিতায় গত বছর এ আবেদন করা হয়। আবেদনটি পর্যালোচনা ও পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে সিএমএইচআর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে ড. জেরেমি ৬ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সফর করে সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছেন।
গণহত্যার স্বীকৃতি সংক্রান্ত আবেদনটি গৃহীত হলে সিএমএইচআর গণহত্যা সংক্রান্ত দলিল ও প্রমাণাদি জাদুঘরে স্থায়ীভাবে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করবে। একই সঙ্গে আবেদনটি গৃহীত হওয়ার পর স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম সাল এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ওই জাদুঘরের ‘টাইম স্ট্রিমে’ দেখানোর জন্য স্থায়ীভাবে যুক্ত করা হবে। সিএমএইচআর কানাডার কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনা করে থাকে, যা বিশ্বের একমাত্র মানবাধিকার বিষয়ক জাদুঘর।
https://www.youtube.com/watch?v=CLkjCco1oa0&t=83s
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post