পাঁচ বছর বিদেশে থাকার পর দেশে ফেরার তারিখ ধার্য করেন মো. আমিরুল ইসলাম ভূঁইয়া। বাড়িতে আসবেন বলে তার যেন আনন্দের শেষ ছিল না এই প্রবাসীর। কারণ মা, স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে দেখা হবে। প্রতিদিন তার কথা হতো স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে। কার কি প্রয়োজন জেনে সাধ্যানুযায়ী কেনাকাটাও করেন। স্ত্রী সন্তানকে বিমান বন্দরে আসতেও বলা হয়। সে অনুযায়ী তারাও উৎসাহ নিয়ে বিমান বন্দরে হাজির। আমিরুল আসলেন ঠিকই। স্ত্রীসহ সন্তানের দেখাও পেলেন। একসঙ্গে বাড়িতেও আসা হলো, তবে জীবিত নয় মৃত অবস্থায়। সোমবার সকালে ঢাকায় একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
আমিরুল ইসলাম ভূইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ছোট কুড়ি পাইকা গ্রামের জহিরুল ইসলাম ভূইয়া ছেলে। শনিবার সৌদি আরবের কর্মস্থল থেকে তিনি বাংলাদেশে আসেন। বিমান বন্দরে অবস্থান করার পর হঠাৎ তার শরীর খারাপ হয়। এরপর আমিরুলের স্ত্রী ও স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাব। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জালাল হোসেন জানান, আমিরুল ইসলাম একজন ভালো ছেলে ছিলেন। পরিবারের কথা ভেবে সময় প্রবাসে কাটান। কয়েক বছর আগে অসুস্থ হলে উন্নত চিকিৎসা ক্রিয়ে সুস্থ হয়ে পুনরায় কর্মস্থলে চলে যান। শনিবার দেশে আসেন। কিন্তু বিমান বন্দরে হঠাৎ তার শরীরটা খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post