চলতি বছরের মে মাসে ছেলেকে দেখতে দেশে আসার কথা ছিলো আলমগীর কাজীর। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন পিষ্ট হলো কুয়েতের সড়কে। এখন ভাগ্যের নির্মমতায় বাক্সবন্দী হয়ে ফিরতে হচ্ছে তাকে। গত ৩১ জানুয়ারি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে দেশটির সৌদি ও ইরাক সীমান্তবর্তী আবদালী এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওইন্নাইলাইহি রাজিউন)। নিহত আলমগীর মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের সরদার কান্দি গ্রামের হাসেম কাজীর ছেলে।
জানা গেছে, কুয়েতের জাহারা একটি কোম্পানির মাইক্রোবাস চালাতেন আলমগীর কাজী। মঙ্গলবার সৌদি আরব ও ইরাক সীমান্তবর্তী এলাকা আবদালী এলাকায় তার মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে দুর্ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহতের সহকর্মী বেলাল হোসেন জানান, পরিবারের হাল ধরতে ২০০৫ সালে কুয়েতে আসেন আলমগীর কাজী। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন।
২০১৯ সালে দেশে ছুটিতে গিয়ে বিয়ে করেন এবং তার তিন বছরের একটা ছেলে সন্তান রয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে ছেলেকে দেখতে ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল। কাগজপত্র ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দেশে পরিবারের কাছে পাঠানো হবে। বর্তমানে মরদেহ ফরওয়ানিয়া হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post