একটি রাজপরিবার একটি অসামান্য জীবনযাপন করবে, এটাই স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু কাতারের রাজপরিবার এতটাই বিলাসী জীবনযাপন করে যে, এমনকি বিশ্বের শীর্ষ ধনী এলন মাস্ক ও জেফ বেজোসের সম্পদ একত্রিত করলেও তা কাতারের রাজপরিবার সম্পদের সমপরিমাণ হবে না। কাতারের রাজপরিবার নেতৃত্বে রয়েছেন দেশটির বাদশা তামিম বিন হামাদ আল-থানি, যিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী জীবিতদের একজন। কাতারের রাজপরিবার যে অকল্পনীয় বিলাসিতায় জীবনযাপন করেন, তা বিশ্বের সেরা বিলিয়নিয়াররাও কেবলমাত্র স্বপ্নেই দেখেন। অত্যাধুনিক গাড়ি বা সুপারকার থেকে শুরু করে ধনী এলাকায় তাদের রাজপ্রাসাদ, অত্যাশ্চর্য সুপারইয়ট পর্যন্ত থানি পরিবার অসাধারণ জীবনযাপনের একটি অনতিক্রম্য মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
দোহাতে কাতারের জমকালো রাজপ্রাসাদের মোট সম্পদের দাম ৩৩ হাজার ৫ কোটি মার্কিন ডলার। এই প্রাসাদ ছাড়াও থানি পরিবার লন্ডনে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের চেয়ে বেশি সম্পদের মালিক। আমিরের তৃতীয় স্ত্রী শাইখাহ মোজাহ বিনতে নাসের আল মিসনেদ ৮ কোটি ডলারে একটি কর্নওয়াল টেরেস কিনেছিলেন। তারপর তিনি ২ থেকে ৩টি কর্নওয়াল টেরেসের জন্য অতিরিক্ত ৪ কোটি ডলার প্রদান করেন, যা এটিকে রিয়েল এস্টেটের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সম্পদগুলোর মধ্যে একটি করে তোলে। ২৫ কোটি ডলারের ৩৩ হাজার বর্গফুটের প্রাসাদটিতে একটি স্পা, উষ্ণ সুইমিং পুল, বিউটি সেলুন, খানসামা এবং কর্মচারী কোয়ার্টার, একটি বাচ্চাদের স্থান, গেম রুম, পাউডার রুম, ম্যাসেজ এলাকা, দুটি লিফ্ট এবং একটি জিমনেসিয়াম রয়েছে।
শুধুমাত্র রাজপ্রাসাদই কাতারের শাসকদের বিলাসিতার শেষ কথা নয়। অনেক মূল্যবান শিল্পকর্মসহ সুন্দর সব জিনিসের প্রতিও আগ্রহ রয়েছে তাদের। কাতার-আমিরের কন্যা আল-মায়াসা বিনতে হামাদ বিন খলিফা আল-থানি কাতার মিউজিয়াম অথরিটি (কিউএমএ)-এর রাজপরিবারের প্রধান এবং তাকে বর্তমান শিল্প জগতের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মহিলা বলা হয়। তার চাচাতো ভাই সউদ বিন মুহাম্মাদ আল-থানির ঐতিহ্যবাহী পাণ্ডুলিপি, কার্পেট, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি এবং মুঘলাই গয়নাগুলোর এক বিশাল সংগ্রহ রয়েছে, যা তিনি নিয়মিত যাদুঘরে দিয়ে থাকেন। শেখ সউদের বড় ভাই হাসান বিন মোহাম্মদ বিন আলী আল-থানি একজন অনুরাগী শিল্প সংগ্রাহক যিনি ৬ হাজার ৩শ’টি মূল্যবান শিল্পকর্ম নিয়ে আরব বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত সংগ্রাহক।
কাতারি রাজপরিবারের মালিকানায় রয়েছে ৪০ কোটি ডলার মূল্যের বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল এবং অন্যতম বৃহত্তম সুপারইয়ট কাতারা। ৭ হাজার ৯শ’ ২২ টনের ইয়টটি একটি হেলিকপ্টার ডেক, উপগ্রহ ডোম, অত্যাধুনিক তথ্য আদান-প্রদান যন্ত্র এবং জেট স্কি দিয়ে সজ্জিত। এর অনেক বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে একটি বিশাল বিচ ক্লাব, একাধিক জিম, একটি বিউটি সেলুন এবং বেশ কয়েকটি সুইমিং পুল। ভাসমান প্রাসাদটিতে প্রায় ৩৫ জন অতিথি এবং ৯০ জন ক্রু সদস্যের থাকার ব্যবস্থা আছে।
শুধু জমিতেই নয়, আকাশেও কাতারের রাজপরিবার কল্পনাতীত বিলাসিতার প্রতীক। তাদের ৬০ কোটি ডলার মূল্যের বোয়িং-এ রয়েছে দশটি বাথরুম, দুই তলায় ছড়িয়ে থাকা কয়েকটি লাউঞ্জ এবং একটি অত্যাশ্চর্য বেডরুম সুইট। নীল, সাদা এবং সোনালী রঙের ছোট এ উড়ন্ত প্রাসাদে ৭৬ জন যাত্রী এবং ১৮ জন ক্রু বসতে পারে, যা বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ৪শ’ ৬৭ জনকে বহন করার জন্য ডিজাইন করা। আরামের পাশাপাশি এটি একটি অত্যাধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্রে সজ্জিত।
দুই শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠালো
বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ ছাড় দিবে ওমানের বদর
ওমানের হামরিয়ায় পুলিশের অভিযানে দুই শতাধিক প্রবাসী
মাঝ-আকাশে হঠাৎ আগুনের গোলা দেখল ১১টি বিমান
ওমানে প্রথম বিদ্যুৎ বিহীন মসজিদের উদ্বোধন
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post