বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালদ্বীপের শ্রমবাজার বর্তমানে বন্ধ থাকলেও অদূর ভবিষ্যতে শ্রমিক নিতেই হবে। অপেক্ষাকৃত কম বেতন ও কাজের প্রতি আন্তরিকতার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাহিদা অনেক বেশি। দেশটির নতুন নতুন অবকাঠামো বিনির্মাণে প্রবাসীরা ব্যাপক অবদান রেখেছেন।
সম্প্রতি মালদ্বীপ সফরকালে দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে দূতাবাস কার্যালয়ে আলাপকালে এসব কথা বলেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।
এদিকে তিনি আরও বলেন, এক বা দুই বছর পরে হোক মালদ্বীপকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতেই হবে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় দেশটি। করোনাকালীন এদেশে অবকাঠামো নির্মাণকাজ প্রায় বন্ধই ছিল। মহামারি কেটে গেলে দেশটির নির্মাণ শ্রমিক প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশের মতো এত কম পারিশ্রমিকে আর কোনো দেশের কর্মী পাবে না। ফলে তারা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে বাধ্য হবে। অদক্ষ শ্রমিক নেওয়া বন্ধ থাকলেও দক্ষ চিকিৎসক ও নার্সরা মালদ্বীপে মোটা অংকের বেতনে চাকরিতে আসছেন। এদেশে এ মুহূর্তে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নার্সের চাহিদা অনেক বেশি।
এদিকে মালদ্বীপে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত এক রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিটি একজন বিদেশি পর্যটক। রোববার (৫ ডিসেম্বর) নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে দেশটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা এইচপিএ এই তথ্য জানিয়েছে।
নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে, মালদ্বীপে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে রাজধানী মালে ২৫ জন।এখন পর্যন্ত মালদ্বীপে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৯২ হাজার ২১১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সুস্থ হয়েছে ১০২ জন। এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ ৯০ হাজার ২০৫ জন। তাই মহামারী করোনাতে মালদ্বীপের শ্রমবাজারে কিছুটা ভাটা পরলেও দেশটির সরকার আবারো শ্রমবাজারে গুরুত্ত দিচ্ছে।
জানা গেছে, প্রায় ৫ লাখ জনসংখ্যার দ্বীপবেষ্টিত দেশটিতে প্রায় এক লাখ বাংলাদেশি রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশই অবৈধ। যারা অবৈধ (অনিয়মিত) তাদের নিয়মিত করতে এদেশের সরকার একটি সুযোগ দেয়। তখন ৪০ হাজার অনিয়মিত প্রবাসী কর্মী রেজিস্ট্রেশন করেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post