মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যতের জন্য আগামী ৪৮ ঘণ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

In the middle east

ইসরায়েল-ইরান চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন শঙ্কা তৈরি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এই সংঘাত আরও বিস্তৃত আকার নিতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপে বিস্মিত নন।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ব রাজনীতিতে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় কূটনৈতিক শিষ্টাচার উপেক্ষা করে পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে নানা আন্তর্জাতিক সংকটে ওয়াশিংটনের ভূমিকা বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাদের মতে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতার পক্ষ থেকে সরে গেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, ইরান পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে এবং সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো সরাসরি ঝুঁকির মুখে পড়বে। তবে ইরানের মিত্র রাষ্ট্রগুলো সম্ভবত সামরিক নয়, কেবল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়তায় সীমাবদ্ধ থাকবে বলে মনে করছেন তারা।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক প্রফেসর আকমল হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তারে সচেষ্ট এবং এটি নতুন কিছু নয়। ইরান সামরিক সহায়তা না পেলেও, কূটনৈতিক চাপে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিহত করার চেষ্টায় মিত্রদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে।

বিশ্লেষক আসিফ মুনীর বলেন, “ইরানের অনেক সামরিক স্থাপনা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় থাকায় পাল্টা হামলার সম্ভাবনা জটিল হয়ে দাঁড়াবে।” তবে তিনি মনে করেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা পরিস্থিতির গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কূটনৈতিক উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।

আরও দেখুনঃ

whatsappচ্যানেল ফলো করুন

প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।

Gif final ezgif.com optimize